Connecting You with the Truth

ম্যারাডোনার নাতিকে জার্সি দেবেন আগুয়েরো

চ্যাম্পিয়ন্স লীগে নেপোলির বিপক্ষে গোল করে ম্যানচেস্টার সিটির সর্বকালের সর্বাধিক গোলদাতার আসনে অধিষ্ঠিত হওয়া সার্জিও আগুয়েরোকে ক্লাবটির ‘কিংবদন্তী’ খেতাবে ভূষিত করেছেন কোচ পেপ গার্দিওলা।

গতকাল চ্যাম্পিয়ন্স লীগের ম্যাচে ইতালীয় জায়ান্ট স্বাগতিক নেপোলিকে ৪-২ গোলে হারিয়ে টুর্নামেন্টের শেষ ১৬ তে জায়গা করে নেয় সিটিজেনরা। ম্যাচে ক্লাবের হয়ে তৃতীয় গোলটি করেন আর্জেন্টাইন এ তারকা। এর ফলে ১৯৩০ সালে ক্লাবের হয়ে সর্বাধিক গোলের আসনে বসা এরিক ব্রোকের ১৭৭ গোলের রেকর্ড ভেঙ্গে ১৭৮ গোলে পৌঁছে যান ২৯ বছর বয়সী আগুয়েরো।

যে জার্সিটি পরে তিনি এই মাইলফলকে পৌঁছেছেন সেটি তার ৯ বছর বয়সী পুত্র কিংবদন্তী ফুটবলার দিয়াগো ম্যারাডোনার নাতী বেঞ্জামিনকে উপহার হিসেবে দেয়ার কথা ঘোষণা করেছেন আগুয়েরো।

তিনি বলেন, ‘এই জার্সির্টি আমার সন্তানের জন্য। সে এই জার্সিটি পাবার জন্য আমাকে ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়ে বলেছে, অতিসত্বর তুমি গোল করতে যাচ্ছ। আমার জন্য জার্সিটি নিয়ে আসবে। তাই আমি এই জার্সিটি আমার ছেলের জন্য নিয়ে যাব। আর্জেন্টিনা থেকে আমার পরিবারও আমাকে ফোন করে বলেছে যে তারা আমার খেলাটি দেখছে। ’

ফুটবল কিংবদন্তী ম্যারাডোনার কন্যা জিয়ানিনা ম্যারাডোনা আগুয়েরোর স্ত্রী। তিনি এমন এক মাঠে এই মাইলফলকে পৌঁছেছেন যেখানে শ্বশুর ম্যারাডোনা ১৯৮৪-থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত আইকন হিসেবে ফুটবল খেলেছেন। এ সময় তিনি সিরি এ লীগের দুটি শিরোপা এবং উয়েফা কাপের শিরোপা জয় করেছিলেন।

ম্যানচেস্টার সিটির কোচ পেপ গার্দিওলা বলেন,‘ এগুয়েরো যে সফলতা অর্জন করেছে, তাতে সে কিংবদন্তীর কাতারে পৌঁছে গেছে। সে ইতিহাসের পাতায় ঢুকে গেছে। তাই আমি তাকে বলেছি ‘উপভোগ কর।’

নিজের ১৭৮তম গোলটি সতীর্থ খেলোয়াড়দের উৎসর্গ করেছেন এগুয়েরো। বলেন,‘ আমি এই মুহূর্তে খুবই খুশি। খুশির কারণ হচ্ছে আমার সতীর্থরা এবং সমর্থকরা আমাকে দারুণভাবে সহযোগিতা করেছে। আমি এই কারণে খুশি, কারণ এটি একবারই ঘটেছে। নেপালি এমনিতেই একটি শক্তিশালী দল। তাদের বিপক্ষে তাদের মাঠে চ্যাম্পিয়ন্স লীগের ম্যাচ খেলা সব সময় কঠিন।’ বাসস।

Comments
Loading...