শার্শায় যৌতুক লোভী স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করায় গৃহবধুকে হুমকি
মিলন কবির যশোর থেকে : যশোরের শার্শায় স্বামীর বিরুদ্ধে যৌতুক মামলা করায় এক গৃহবধূকে মামলা তুলে নিতে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এক লিখিত অভিযোগে জানাগেছে, শার্শার নাভারন কাটশেকরা গ্রামের ব্যবসায়ী গোলাম কুদ্দুসের মেয়ে শারমিন আক্তার(২৬)এর সাথে শার্শার পাকশিয়া গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে মোঃ মেহেদী আল মাসুদ এর সাথে গত দেড় বছর আগে ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক বিবাহ হয়। এ সময় মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে ব্যবসায়ী পিতা গোলাম কুদ্দুস প্রায় সাড়ে ৩লক্ষ টাকার বিভিন্ন আসবাবপত্র জামাইকে প্রদান করে। বিয়ের ৬/৭মাস পর মেহেদী আল মাসুদ তার পরিবারের সদস্যদের প্ররোচনায় তার স্ত্রী শারমিন আক্তারের কাছে ১০ লক্ষ টাকা ও একটি মোটনসাইকেল যৌতুক হিসেবে দাবী করেন। এ সময় শারমিন এত টাকা ও মোটরসাইকেল তার পিতার কাছে চাইতে পারবেনা বলে জানান। তখন থেকে মেহেদী আল মাসুদ তার স্ত্রীর উপর বিভিন্ন অযুহাত দেখিয়ে শারীরিক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন করতে শুরু করেন। গত ১৮ আগষ্ট মেহেদী আল মাসুদ তার স্ত্রী শারমিন কে বেদম ভাবে মারপিট করেন। এ সময় মেহেদীর মা সহ বাড়ির অন্য সদস্যরাও শারমিনকে মারপিক করতে সহায়তা করেন। এরপর গত ১৭ সেপ্টেম্বরও শারমিনকে বেদম ভাবে মারপিট করা হয়। এ দিন স্থানীয় প্রতিবেশিরা শারমিনকে উদ্ধার করে নাভারন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। এই ঘটনায় শারমিন আক্তার বাদী হয়ে তার স্বামী বেনাপোল সোনালী ব্যাংকে কর্মরত মেহেদঅ আল মাসুদ, শাশুড়ি মোছাঃ সেলিনা খাতুন(৪৬) , নোনদ নাসরিন আক্তার (২৮) ও নাসরিনের স্বামী জুয়েল রানা(৩৩)কে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। লিখিত অভিযোগে আরও জানাগেছে, এর আগেও মেহেদী আল মাসুদ একটি বিবাহ করেন। সেখানে প্রয়োজন মত যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীকে তালাক প্রদান করেন। উল্লেখ্য মামলার পর শার্শা থানা পুলিশ আসামী মেহেদী আল মাসুদকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করেন। এ ঘটনার পর থেকে আসামী পক্ষের লোকজন বিভিন্ন মাধ্যমে শারমিন আক্তারকে তার স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা তুলে নিতে হুমকি প্রদর্শন করছে। শার্শা থানার অফিসার ইন-চার্জ মসিউর রহমান এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন এ ব্যাপাওে মামলা চলছে। যদি কোন ব্যাক্তি বাদীকে মামলা তোলার হুমকি দেয় তা হলে তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করলে তা তদন্ত কাে অপরাধীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিষয়টি প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করেছেন ভুক্তভোগি পরিবার।