Connecting You with the Truth

শেরপুরে রিমন হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবি

শেরপুরের প্রত্যন্ত গ্রামের ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী রিমন হত্যার সাতদিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ আসামীদের চিহিৃত করতে পারিনি। তারই প্রেক্ষিতে আসামীদের দ্রুত চিহিৃত এবং গ্রেপতার করে শাস্তির দাবী জানিয়ে শেরপুরবাসী বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে।

বিক্ষোভ মিছিলটি ১ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর উপজেলার ভীমগঞ্জ বাজার থেকে শেরপুর জেলা শহরের উদ্দেশ্যে শুরু হয়। এসময় শেরপুরের বিভিন্ন গ্রাম থেকে আসা প্রায় ৩ থেকে ৪ হাজার মানুষ বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ১০ কিলোমিটার রাস্তা পায়ে হেঁটে জেলা শহরে আসে। পরে বিক্ষোভ মিছিলটি শহর প্রদক্ষিণ শেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন পালন করেন। এসময় মানববন্ধনে অংশ নেওয়া নারী,শিশু, যুবক, বৃদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধাসহ সর্বস্তরের মানুষ রিমন হত্যার মূল আসামীদের চিহিৃত করে তাদেরকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবী জানায়।

জানা গেছে, শেরপুর সদর উপজেলার কামারিরা ইউনিয়নের ভীমগঞ্জ বাজারে ড্যাফোডিল স্কুলের বাথ রুম থেকে গত ২৬ আগষ্ট শুক্রবার সকালে মোহাম্মদ রিমন (১৪) নামের এক ৮ম শ্রেনীর স্কুল ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তার পিতার নাম মোহাম্মদ সাগর এবং সে খুনুয়া মধ্যপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। নিহতের মা জানায়, ২৫ আগষ্ট বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সে স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে এবং একটু পর আবার সে নানীর বাড়িতে যাবার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ঘরে ফিরেনি। এরপরের দিন সকালে স্কুলের নৈশপ্রহরী স্কুলের টয়লেটে তার মরদেহ দেখতে পেয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষককে খবর দিলে তিনি পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশের একাধিক ইউনিট গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।

রিমনের বাবা সাগর কান্না বিযরিত কন্ঠে দেশ রুপান্তরকে বলেন, আমি আমার ছেলের হত্যাকারীদের ২৪ঘন্টার মধ্যে ফাসি চাই।

এদিকে বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেওয়া শেরপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার দেশ রুপান্তরকে বলেন, রিমন হত্যার সাতদিন অতিবাহিত হয়েছে কিন্তুু এখনও পুলিশ আসামী ধরাতো দুরের কথা চিহিৃতই করতে পারেনি।আমি আসামীদের দ্রুত চিহিৃত এবং গ্রেপতারে প্রশাসনের ঊর্ধতন কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ চাই।

এদিকে হত্যাকান্ডের বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল জানায়, গত ২৬ আগষ্ট রিমনের লাশ উদ্ধারের পর রিমনের বাবা সাগর বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। আসামী সনাক্তের জন্য তদন্ত চলছে।

Comments
Loading...