রমনার বটমূলে পৌষমেলা শুরু
বাংলাদেশের পত্র ডেস্ক:
রমনার বটমূলে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী পৌষমেলা। মেলার এবারের ¯ে¬াগান শান্তির পায়রা উড়–ক পৌষের আকাশে। গত কাল সকাল ৮ টায় আইলা জ্বালানোর মধ্য দিয়ে এ মেলার উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন নাট্যব্যক্তিত্ব ঝুনা চৌধুরী ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক হাসান আরিফ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মাহমুদ সেলিম, বাবুল বিশ্বাস, মানজারে হাসান সুইট, রফিকুল ইসলাম প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস। অনুষ্ঠানের ঘোষণা পাঠ করেন পৌষমেলা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ রায়।
বক্তারা বলেন, “হাজারো বছরের ঐতিহ্যে লালিত আমাদের সংস্কৃতি। এখানে পৌষ পার্বণে গ্রামে গ্রামে আছে মেলার প্রচলন, যা উদযাপিত হয় বাংলার খোলা মাঠে। এই সব মেলায় দেশজ পণ্যের সমাহার আর লোকজ সংস্কৃতির উপস্থাপনা গ্রামীণ জনপদের মানুষগুলোর জীবনে নির্মল আনন্দ বয়ে আনে। ধর্ম নয় বর্ণ নয়, ধনী নয় দরিদ্র নয়, সকল মানুষের প্রাণের উৎসব এই পৌষ পার্বণ। পিঠা পুলি, মুড়ি মুড়কি, খেজুর রস, নলের গুড়, শিরনি পায়েস-যার যা সামর্থ্য, তা নিয়েই অংশী হয় এই অনাবিল আনন্দের।” উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, আমাদের ঋতুর বৈচিত্র নতুন প্রজন্মকে জানানোর দায়িত্ব আমাদের। আর এ দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে পৌষমেলা উদযাপন পরিষদ। আমাদের নিজস্বতা আমাদেরকেই ধরে রাখতে হবে। তারা বলেন, শুধু রমনার বটমূলে নয় শহরের প্রতিটি প্রান্তে যদি প্রতিটি ঋতু নিয়ে এ ধরনের অনুষ্ঠান করা যায় তাহলে আমাদের সন্তানরা নিজেদের সংস্কৃতিতে সমৃদ্ধ হয়ে বিদেশি সংস্কৃতির আগ্রাসনমুক্ত হবে। আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে ১১টা এবং বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে এ মেলা। এবারের উৎসবে দলীয় সংগীত, একক সংগীত, দলীয় আবৃত্তি, একক আবৃত্তি, বাউলগান, সংযাত্রা, মহুয়ার পালা ও নৃত্যের পাশাপাশি থাকবে ঢাকার বাইরে থেকে আসা দুটি দলের পরিবেশনা। মেলায় ৪০টি স্টল রয়েছে।