দেশব্যাপী চলমান অবরোধে বিপাকে ইজতেমামুখী বিদেশি মুসল্লিরা
স্টাফ রিপোর্টার:
বিএনপির ডাকা অনির্দিষ্টকালের অবরোধে দূরপাল্লার যান চলাচল বন্ধ থাকায় বেনাপোলে আসা বিশ্ব ইজতেমায় যোগ দিতে আসা বিদেশিদের পাশাপাশি ভারত ফেরত যাত্রীরা আটকা পড়েছেন। আগের রাতে ২/১টি বাস ছাড়লেও গত কাল থেকে ঢাকামুখী যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এ অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। প্রথম দফায় ৯-১১ জানুয়ারি এবং দ্বিতীয় দফায় ১৬-১৮ জানুয়ারি টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। সড়ক-মহাসড়কে গা
ড়ি ভাংচুর এবং অগ্নিসংযোগের শঙ্কায় গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে বলে ঈগল পরিবহনের বেনাপোল কাউন্টারের ব্যবস্থাপক এম আর রহমান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “সকাল থেকে দূরপাল্লার ও অভ্যন্তরীণ রুটের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। আকস্মিক এ যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শত শত ভারত ফেরত যাত্রী ও বিশ্ব ইজতেমায় যোগ দিতে আসা বিদেশি মেহমানরা বিপাকে পড়েছেন।” বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ওসি আখতার হোসেন বলেন, “ভারত-বাংলাদেশ পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক রয়েছে। দেশের বাইরে যাওয়া যাত্রীর সংখ্যা কম থাকলেও বিশ্ব ইজতেমার কারণে দেশে আসা যাত্রীর সংখ্যা অন্যান্য সময়ের চাইতে অনেক বেশি।” বেনাপোলের মাহাবুবা হক এতিম খানায় বিশ্ব ইজতেমায় যোগ দিতে আসা বিদেশিদের জন্য স্থানীয়ভাবে খোলা হয়েছে একটি ‘ইজতেমা ক্যাম্প’। ওই ক্যাম্পে অবস্থানরত ইজতেমায় যোগ দিতে আসা ভারতের হুগলী থেকে আগত আশরাফ আলি জানান, তার নেতৃত্বে ১১ জনের একটি প্রতিনিধি দল বিশ্ব ইজতেমায় যোগ দিতে সকালেই বাংলাদেশে এসেছেন। এখানে এসেই যান চলাচল না করায় কিছুটা বিপদেই পড়েছেন। দিল্লির মারকাস মসজিদ থেকে আবু হানিফের নেতৃত্বে এসেছেন ১৩ জনের একটি দল। ঢাকা মারকাস মসজিদের তাবলীগ জামাতের আমির কামাল হোসেনের নেতৃত্বে স্থানীয় একটি দল বেনাপোলে ইজতেমায় আগত বিদেশিদের তদারকির দায়িত্ব পালন করছেন। ওই টিমের সদস্য ঢাকার আব্দুর রহমান বলেন, গত তিন দিন ধরে মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ইয়েমেন, সৌদি আরব, থাইল্যান্ড থেকে তাবলিগের প্রতিনিধিরা আসছেন। গত কাল বেশি আসছেন ভারতীয় লোক। স্থানীয়দের সহযোগিতায় চেকপোস্টে শুল্ক ও ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে ক্যাম্পে ওনাদের বিশ্রামের ব্যবস্থা করছি। অবরোধ থাকায় ওনারা ক্যাম্পেই থাকছেন। গত বছর বাইরের ১৩০টি দেশ থেকে প্রায় ৩০ হাজার বিদেশি মুসল্লি বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নেন।