বিপদ সীমার উপরে নালিতাবাড়ীর ভোগাই ও চেল্লাখালী নদীর পানি
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে গত তিন দিনের টানা ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার খরস্রোতা ভোগাই ও চেল্লাখালী নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একইসাথে নদীতীর উপচে গিয়ে প্রবল স্রোতে বসতবাড়িতে ঢলের পানি ঢুকছে। তবে পৌরশহরের গড়কান্দা নতুন বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ার আশংকা করছেন এলাকাবাসী।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) সকালে চেল্লাখালী নদীর বারোমারী বাজার পয়েন্টে ৩১৪ সেন্টিমিটার ও ভোগাই নদীর নালিতাবাড়ী পয়েন্টে ৪৭ সেন্টিমিটার বিপদ সীমার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। পানি উন্নয়ন বোর্ডের গেজ পাঠক আলমগীর হোসেন ও মুকুল মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সুত্র জানায়, গত রোববার থেকে নালিতাবাড়ী উপজেলায় ভারি বর্ষণ শুরু হয়। তিন দিনের টানা ভারি বর্ষণ ও উজানে ভারতের মেঘালয় রাজ্য থেকে বয়ে আসা খরস্রোতা ভোগাই ও চেল্লাখালী নদীতে প্রবল স্রোতে পাহাড়ি ঢল নামে। এসময় ভোগাই নদীর খালভাঙা, গড়কান্দা নতুন বাসস্ট্যান্ড, গোবিন্দনগর এবং চেল্লাখালী নদীর সন্ন্যাসীভিটা ও গোল্লাপাড় এলাকায় নদীতীর উপচে গিয়ে লোকালয়ে প্রবল বেগে ঢলের পানি প্রবেশ করে। এতে ওই এলাকার প্রায় দুই শতাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
অপরদিকে, নালিতাবাড়ী- গাজীরখামার- শেরপুর সড়কে পাহাড়ি ঢলের পানি প্রবাহিত হওয়ায় সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। ভুক্তভোগীরা জানান, ঢলের পানিতে নিম্নাঞ্চলের কৃষকের আমন ধানের বীজতলা, সবজিখেত ও অসংখ্য পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। ঢলের পানি নেমে গেলে প্রকৃত ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে বলে তারা উল্লেখ করেন।
এ বিষয়ে নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুদ রানা বলেন, নালিতাবাড়ী উপজেলার দুটি নদীতে পাহাড়ী ঢলের পানি নদীর কিনারা উপচে গিয়ে বসতবাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে। তবে এ পানি সাময়িক বৃদ্ধি পেয়েছে। বৃষ্টি থামলে দ্রুত পানি নেমে গিয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবে আসবে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে বলেও জানান তিনি।