তাইওয়ানের কারাগারে পণবন্দি নাটকের অবসান: ৬ বন্দির ‘আত্মহত্যা’
তাইওয়ানের একটি কারাগারে কয়েদিদের পক্ষ থেকে কয়েকজন কারারক্ষীকে পণবন্দি করার ফলে যে নাটকীয় পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল তার অবসান হয়েছে। পণবন্দি গ্রহণকারী ছয় কয়েদি ‘আত্মহত্যা’ করার পর ১৪ ঘন্টার টানটান উত্তেজনা প্রশমিত হয় বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। তাইওয়ানের বিচার মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কাওসিউং কারাগারে পুলিশের কমান্ডোরা বিশেষ অভিযান শুরু করার আগ মুহূর্তে বৃহস্পতিবার ভোর ৫টায় কয়েদিরা আত্মহত্যা করে। মন্ত্রণালয় আরো জানায়, এর ফলে কারা প্রধান চেন শি-চিন, উপ প্রধান ওয়াং শি-সাং’সহ পণবন্দি সব কারারক্ষী অক্ষত অবস্থায় প্রাণে রক্ষা পান। তাইওয়ানের বিচার মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, পণবন্দিদের মুক্তি দিতে কয়েদিদেরকে উৎসাহিত করার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়ার চেষ্টা করেন তারা। তারা চেয়েছিলেন এ ঘটনার একটি শান্তিপূর্ণ সমাধান হোক এবং রক্তপাত না ঘটুক। আত্মহত্যাকারী কয়েদিরা হত্যা, ডাকাতি ও মাদক চোরাচালানের মতো গুরুতর অপরাধের দায়ে জেল খাটছিল। তারা বুধবার তাদের বিচার প্রক্রিয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করে কারারক্ষীদের আটক করে। এসব কয়েদি কারাগারের অস্ত্রাগারে হানা দিয়ে চারটি রাইফেল, ছয়টি হ্যান্ডগান ও প্রায় ২০০ বুলেট নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়। কর্তৃপক্ষ ওই ছয় কয়েদির সঙ্গে সারারাত আলোচনা চালায় এবং একই সময়ে কারাগারের চারপাশে কয়েকশ’ কমান্ডো মোতায়েন করা হয়। এ সময় পণবন্দি গ্রহণকারীরা হুমকি দেয়, তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালালে তারা তাদের হাতে আটক ব্যক্তিদের ওপর গুলি চালাবে। তবে শেষ পর্যন্ত তারা ঠিক কেন ‘আত্মহত্যা’ করল তা বোঝা যায়নি।