আন্তর্জাতিক
অস্ত্রবিরতি তদারক করতে শান্তিরক্ষী চাইল ইউক্রেইন
অস্ত্রবিরতি তদারক করতে পূর্ব ইউক্রেইনে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের অনুরোধ করেছেন ইউক্রেইনীয় প্রেসিডেন্ট পেত্রো পোরোশেঙ্কো। বিবিসি জানিয়েছে, বুধবার রাতে ইউক্রেইনের জাতীয় নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা কাউন্সিলের এক জরুরি বৈঠক শেষে এ অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। “যেখানে শান্তির প্রতিশ্র“তি রাখা হচ্ছে না, সেই ধরনের পরিস্থিতিতে” এ রকম বাহিনী নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সহায়তা করতে পারবে বলে ওই বৈঠকে মন্তব্য করেছেন তিনি। তীব্র লড়াইয়ের পর পূর্ব ইউক্রেইনের কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ দেবালৎসিভ শহর থেকে ইউক্রেইনীয় বাহিনী পিছু হটার পর এ মন্তব্য করলেন পোরোশেঙ্কো। ইউক্রেইনীয় জাতীয় নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা কাউন্সিল প্রেসিডেন্ট পোরোশেঙ্কোর অনুরোধ অনুমোদন করেছে। কাউন্সিলের মহাসচিব ওলেকজান্দের তুর্চিনোভ বলেছেন, “এই ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়েছে এবং জাতিসংঘে আবেদন জানানো হয়েছে।” এর আগে প্রেসিডেন্ট পোরোশেঙ্কো জানিয়েছিলেন, বুধবার দেবালৎসিভ থেকে প্রায় ২,৫০০ ইউক্রেইনীয় সেনাকে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। নিজের এই ঘোষণার পর জাতিসংঘের কাছে শান্তিরক্ষী মোতায়েনের অনুরোধ জানালেন তিনি। সেনা প্রত্যাহার সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন হলেও অন্ততপক্ষে ছয় সেনা নিহত ও ১০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। এর আগে, ইউক্রেইনীয় সেনাবাহিনীর এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দেবালৎসিভে তিন দিনে ২২ ইউক্রেইনীয় সেনা নিহত হয়েছেন। বিদ্রোহীরা আরও বেশি সরকারি সেনা নিহতের দাবি জানালেও ইউক্রেইনীয় সরকার তা নাকচ করে দিয়েছেন। গেল সপ্তায় ইউক্রেইনীয় সরকারি বাহিনী ও রুশপন্থি বিদ্রোহীদের মধ্যে স্বাক্ষরিত শান্তিচুক্তি অনুযায়ী অস্ত্রবিরতি শুরু হলেও দেবালৎসিভ অভিযান বন্ধ করেনি বিদ্রোহীরা। তাদের এ পদক্ষেপ ব্যাপকভাবে নিন্দিত হলেও সরকারি বাহিনীকে হটিয়ে শহরটির দখল নিয়েছে তারা। রোববার থেকে শুরু হওয়া অস্ত্রবিরতি দেবালৎসিভ ছাড়া পূর্ব ইউক্রেইনের অন্যান্য এলাকায় মেনে চলা হচ্ছে এবং চুক্তি অনুযায়ী দুপক্ষই কিছু ভারী অস্ত্র সরিয়ে নিয়েছে বলে জানা গেছে। বিদ্রোহীদের মুখপাত্র এদুয়ার্দ বাসুরিন বলেছেন, দেবালৎসিভ এখন “সম্পূর্ণভাবে” বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, তবে কয়েকটি “বিচ্ছিন্ন” স্থানে প্রতিরোধ অব্যাহত থাকলেও সেগুলোকে “নিষ্ক্রিয়” করে ফেলা হচ্ছে। শহরটি থেকে ৩০০ সরকারি সেনাকে বন্দি করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। অপরদিকে নিজেদের কিছু সেনা বন্দি হয়েছেন বলে স্বীকার করেছে ইউক্রেইনীয় সরকার।