কৃষি গবেষণায় উড়ন্ত যান
রকমারি ডেস্ক:
কলাপাড়ায় মানুষবিহীন উড়ন্ত যান দিয়ে কৃষি গবেষণা কাজ চলছে। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনে এ গবেষণায় ব্যবহার করা হচ্ছে আনম্যান্ড এরিয়েল ভেহিক্যাল প্রযুক্তি। এই প্রথম দেশে ফসলি জমির উৎপাদন প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ কৃষি রিসার্স কাউন্সিল এবং বাংলাদেশ কৃষি রিসার্স ইনিস্টিটিউট এ গবেষণা কার্যক্রমের উদ্যোগ নেয়। একটি মানুষবিহীন উড়ন্ত যান তিন প্রকার ক্যামেরা ব্যবহার করে মাটির গণাগুণ ইমেজের মাধ্যমে সংগ্রহ করে। পরবর্তীতে তা স্যাটেলাইটের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করে। শনিবার সকালে উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের পূর্ব আমিরাবাদ গ্রামে সাদা অর্ধডিম্বাকৃতির যানটি আকাশে উড়তে থাকলে তা দেখতে কৃষকসহ উৎসুক জনতা ভিড় করে।
গবেষণা দল সূত্রে জানা গেছে, ফসলি জমির উপর দিয়ে উড়ে যাওয়ার সময় যানটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ছবি ধারণ করবে। এ দিয়ে জানা যাবে পানি, রোগ বালাই ও অন্যান্য সমস্যাদির তথ্য। এ গবেষণায় গত ৮ ফেব্র“য়ারি থেকে বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলা, পটুয়াখালী সদর এবং কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের পূর্ব আমিরাবাদ গ্রামে শুরু হয়। এ পদ্ধতির মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে কৃষিতে বাংলাদেশই প্রথম আনম্যান্ড এরিয়াল ভেহিক্যাল (ইউএভি) ও স্যাটেলাইট প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু করেছে। এ ধরনের কৃষি গবেষণাকে ‘স্থান সুনির্দিষ্ট ফসল ব্যবস্থাপনা’ বলা হয়। আমেরিকা ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে এ প্রযুক্তি ব্যবহার করে
কৃষিকাজ করা হয়।
উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের আমিরাবাদ গ্রামের কৃষক সরোয়ার ব্যাপারির ফসলি জমিতে পরীক্ষামূলক আনম্যান্ড এরিয়েল ভেহিক্যাল পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। তার ১৬ বিঘা জমির গম, ৬ বিঘা জমির ভুট্টা, ৮ বিঘা জমির মুগডাল, ১ একর জমির তিল ও ৬ বিঘা জমির বোর ধানের ছবি ওই যানটি ক্যামেরায় ধারণ করে।
আন্তর্জাতিক ভুট্টা ও গম গবেষণা কেন্দ্রর গবেষক কৃষিবিদ ড. জিয়াউদ্দিন আহমদ জানান, কৃষক পর্যায় আনম্যান্ড এরিয়েল ভেহিক্যাল প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার করে সময়মতো ও পরিমাণমতো সার ও সেচ প্রয়োগ করে রোগ-পোকামাকরের আক্রমণ দমন করা যাবে। ফলে মাঠের ফসল বিশেষ করে গম, ভুট্টা ও মুগডাল ইত্যাদির ফলন বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে।
এ ছাড়া পরবর্তী সময়ে শুধুমাত্র স্যাটেলাইটের ইমেজ দ্বারা মাঠের সমস্যা নির্ণয়ের যাবতীয় সিদ্ধান্তগ্রহণ করা যাবে।