হঠাৎ পানিতে ভরে উঠেছে তিস্তা
শুকনো মওসুমে পানির জন্য আর হাহাকার নেই। নেই ধূ ধূ বালুচরও। উজান নেমে হু হু করে নেমে আসছে পানি। ঢল নেমেছে তিস্তায়। তিস্তার ব্যারাজের সেচ প্রকল্পের কমান্ড এলাকায় ভরপুর পানি পেয়ে খুশি কৃষকরা। এমনই চিত্র দেখা গেছে তিস্তাপাড়ে।
শনিবার মধ্য রাত থেকে তিস্তা নদীতে পানি বাড়তে শুরু করেছে। উজান থেকে ঢল নেমে আসায় শুকিয়ে যাওয়া তিস্তায় হু-হু করে বাড়ছে পানি। এতে নব যৌবনে ফিরেছে তিস্তা।
সূত্রমতে, রোববার সকালে তিস্তায় পানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৫০০ কিউসেকে। ব্যারাজের সেচ প্রকল্পের কমান্ড এলাকায় ভরপুর এ পানি পেয়ে খুশি চাষীরা।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে তিস্তার পানি কমতে কমতে দাঁড়িয়েছিল ১০০ কিউসেকে। অথচ এ নদীতে স্বাভাবিকভাবে গড়ে ৫০০০ হাজার থেকে ৬০০০ হাজার কিউসেক পানি থাকা প্রয়োজন। গত ২৩ ফেব্রুয়ারী থেকে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানি কমতে শুরু করে। এ অবস্থা চলে ২ এপ্রিল পর্যন্ত। এদিকে হঠাৎ করে তিস্তাার পানি হু-হু করে বৃদ্ধির বিষয়টি অবাক করে দিয়েছে তিস্তাপাড়ের মানুষজনকে।
তিস্তাপাড়ের ভাষানীর চরের নৌকা মাঝি মফিজার রহমান (৪২) বললেন, ভারত হয়তো তাদের গজলডোবা ব্যারাজের গেট খুলে দেয়ায় পানির জোয়ার বেড়ে গেছে।
তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী সুরুজ্জামান বলেন, তিস্তা নদীর পানি এখন বৃদ্ধি পাচ্ছে। রবিবার দুপুর ১২টার সময় তিস্তায় পানি প্রবাহ ছিল ২ হাজার কিউসেক কিন্তু ৩টার সময় ৩ হাজার ৫০০ কিউসেক পানি বৃদ্ধি পায়। বর্তমানে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় রংপুরের গঙ্গা চাওয়া, দিনাজপুরের চিনির বন্দর পর্যন্ত সেচ খালে পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। নীলফামারী, রংপুর ও দিনাজপুর জেলার ১২টি উপজেলা প্রায় ৬৫ হাজার হেক্টর জমিতে সেচের পানি সরবরাহ করা হচ্ছে।
তিনি আরো জানান, এবার খরিপ ১ মৌসুমে ২৮ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে সেচ দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়। কিন্তু সেচ দেয়া যায় ৪০ হাজার ৫০০ হেক্টর পর্যন্ত।