৬ মাস বন্ধ থাকার পর পলাশ ও ঘোড়াশাল সার কারখানার উৎপাদন শুরু
পলাশ প্রতিনিধি, নরসিংদী:
প্রায় ৬ মাস বন্ধ থাকার পর নরসিংদীর পলাশ ও ঘোড়াশাল ইউরিয়া সার কারখানার উৎপাদন শুরু হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঘোড়াশাল কারখানাটি সার উৎপাদন শুরু করে। এর আগে গত শনিবার পলাশ ইউরিয়া সার কারখানার উৎপাদন শুরু হয়।
জানা যায়, টি-টোয়োন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনকে কেন্দ্র করে বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে গত ১৬ মার্চ পলাশ ও ঘোড়াশাল সার কারখানার উৎপাদন বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। সরকারের সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে গত ১ সেপ্টেম্বর কারখানা দু’টিতে গ্যাস সরবরাহ শুরু করা হয়। গ্যাস পাওয়ায় কারখানা দু’টির উৎপাদন প্রক্রিয়া শুরু করে কর্তৃপক্ষ। তবে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় বিভিন্ন যান্ত্রিক ত্র“টির সম্মুখীন হয় অপারেটররা। ধারাবাহিক প্রক্রিয়া শেষে গত শনিবার রাত সোয়া ১০টায় পলাশ সার কারখানা ও গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টায় ঘোড়াশাল সার কারখানার উৎপাদন শুরু হয়। ঘোড়াশাল ইউরিয়া সার কারখানায় দৈনিক উৎপাদন ক্ষমতা ১২শত ২২ মেট্রিক টন এবং পলাশ ইউরিয়া সার কারখানার দৈনিক উৎপাদন ক্ষমতা ৩০৫ মেট্রিক টন। চলতি বছর ঘোড়াশাল ইউরিয়া সার কারখানার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন এবং পলাশ ইউরিয়া সার কারখানার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮০ হাজার মেট্রিক টন। তবে কারখানা বন্ধ থাকায় চলতি অর্থবছর কোন সার উৎপাদন সম্ভব হয়নি।
বর্তমানে ঘোড়াশাল সার কারখানায় ৫ হাজার ৬৯৯ মেট্রিক টন এবং পলাশ সার কারখানায় ৬ হাজার ৭২৫ মেট্রিক টন সার মজুদ রয়েছে। যার পুরোটাই উচ্চমূল্যে বিদেশ থেকে আমদানীকৃত।
ঘোড়াশাল সার কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী আলী আক্কাছ বলেন, কারখানাটি অনেক পুরনো ও দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। প্রকৌশলীরা দিন-রাত পরিশ্রম করে মঙ্গলবার রাতে কারখানায় সার উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছে। সরকার যদি গ্যাস সংযোগ অব্যাহত রাখে তাহলে আগামীতে দেশের সারের চাহিদা মিটাতে কারখানাটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।