রংপুর হারাগাছে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সাংবাদিকসহ তার পরিবারকে কুপিয়ে জখম ও ছিনতাই
কাউনিয়া প্রতিনিধি, রংপুর : রংপুর কাউনিয়া উপজেলার হারাগাছে পুর্ব শত্রুতার জের ধরে সাংবাদিক ও তার পরিবারের সদস্যদের কুপিয়ে জখম, শ্লীলতাহানি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ব্যাপারে সাংবাদিক মেহেদী হাসান সুমনের বড় ভাই মো. রঞ্জু মিয়া বাদী হয়ে ১০ জনকে আসামী করে কাউনিয়া থানায় একটি মামলা করেছেন।যার মামলা নং ০২/১২৫। তারিখ-২/০৭/১৫ইং।
মামলা সুত্রে জানা যায়, কাউনিয়া উপজেলার হারাগাছ পৌরসভার সারাই আমবাগান গ্রামে গত ১লা জুলাই বিকালে মুরগী তারিয়ে দেয়াকে কেন্দ্র করে সাংবাদিক সুমনের মাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে প্রতিবেশী শত্রুরা। এ সময় তার বাবা রমজান আলী প্রতিবাদ করতে গেলে তাকে আসামীগন লাঠি ও লোহার রড দিযে এলোপাতারী মারপিট করে এবং তার ছোট বোন রেশমা আক্তারকে মারপিট করা সহ শ্লীলতাহানি ঘটায় এবং তার গলা হতে চেইন ছিনতাই করে প্রতিবেশী দুর্বৃত্তরা। ঘটনার খবর পেয়ে দৈনিক বাহের সংবাদ ও দৈনিক বজ্রশক্তির সাংবাদিক সুমন ও তার ভগ্নিপতি বাড়িতে আসলে তাদেরকেও মাথায়, হাতে কুপিয়ে জখম করে এবং তাদের কাছে থাকা ক্যামেরা, মোবাইল, আংটিসহ প্রায সোয়া লাখ টাকার জিনিসপত্র ছিনতাই করে।
তাদের আর্তচিৎকারে গ্রামবাসী এগিয়ে এসে সাংবাদিক সুমনসহ আহতদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে হারাগাছ ৩১ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার রোগীদের অবস্থার অবনতি দেখে কাউনিয়া উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে ভর্তির পরামর্শ দেন।কাউনিয়া স্বাস্থ কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত ডাক্তার রোগীদের উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। বর্তমানে সাংবাদিক সুমনসহ তার ভগ্নিপতি ও পিতা রংপুর মেডিকেলে ১৯ নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন এবং এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বর্তমানে সাড়াই আমাগান এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
কাউনিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রেজাউল করিম জানান, এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে থানায় একটি মামলা হযেছে।বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা এস আই রিয়াজুল ইসলাম মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে বলে জানান।
এদিকে মামলার বাদী মো. রঞ্জু মিয়া বিভিন্ন গণমাধ্যম, আইন শৃংখলা বাহিনী ও প্রশাসনের কাছে আসামীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়ে সার্বিক সহযোগীতা কামনা করেছেন।
সাংবাদিক ও তার পরিবারের উপর হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন রংপুর বিভাগীয় সাংবাদিক কল্যাণ সংস্থান সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম বাবলা ও সাধারন সম্পাদক তাজিদুল ইসলাম লালসহ বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন। তারা এ ঘটনার বিরুদ্ধে দ্রুত তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।