Connecting You with the Truth

আজ আদালতে যাচ্ছেন খালেদা

বাংলাদেশেরপত্র

স্টাফ রিপোর্টার : দুই দুর্নীতি মামলায় হাজিরা দিতে বৃহস্পতিবার (২৩ ‍জুলাই) আদালতে যাচ্ছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের সোয়া পাঁচ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা ওই দুই দুর্নীতি মামলার বিচারিক কার্যক্রম চলছে রাজধানীর বকশিবাজারে কারা অধিদফতরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদারের অস্থায়ী আদালতে। বৃহস্পতিবার দুই মামলারই বাদী ও প্রথম সাক্ষী দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশিদকে আসামিপক্ষের অসমাপ্ত জেরা ও পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য রয়েছে। আদালতে হাজিরা দিতে সকাল নয়টার দিকে গুলশানের বাসা থেকে রওনা দেবেন মামলা দু’টির প্রধান আসামি খালেদা জিয়া।

খালেদা জিয়ার আইনজীবী বিএনপির গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া গতকাল বুধবার তার হাজির হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তবে আদালতে হাজিরা দেওয়ার ব্যাপারে খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত তার প্রেস উইং কর্মকর্তাদের কিছু জানানো হয়নি। চেয়ারপারসনের প্রেসউইং কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান বলেন, এখন পর্যন্ত আমাদের কিছু জানানো হয়নি। বিষয়টি দেখভাল করেন ম্যাডামের আইনজীবীরা।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার আসামি মোট ছয়জন। খালেদা ছাড়া অন্য পাঁচজন হলেন- বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও খালেদার বড় ছেলে তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান। আসামিদের মধ্যে ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান মামলার শুরু থেকেই পলাতক, বাকিরা জামিনে আছেন।

অন্যদিকে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় মোট আসামি চারজন। খালেদা ছাড়া অভিযুক্ত অপর তিন আসামি হলেন- খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব বর্তমানে বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।

জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও মনিরুল ইসলাম খান জামিনে আছেন। হারিছ চৌধুরী মামলার শুরু থেকেই পলাতক। জামিনে থাকা দুই মামলার আসামিরাও আদালতে হাজির থাকবেন বলে জানিয়েছেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। নানা কারণ দেখিয়ে মামলা দু’টির শুনানির জন্য নির্ধারিত ৬৮ কার্যদিবসের মধ্যে ৫৮ কার্যদিবসই অনুপস্থিত থেকেছেন খালেদা জিয়া। সর্বশেষ ধার্য তারিখ গত ১৮ জুনসহ হাজির হয়েছেন মাত্র ১০ দিন।

দীর্ঘদিন ধরে শুনানিতে অনুপস্থিত থাকায় গত ২৫ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া, কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল ও শরফুদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন আদালত। পরে গত ৫ এপ্রিল আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন খালেদা জিয়াসহ ওই তিন আসামি।

বাংলাদেশেরপত্র/এডি/এ

Comments
Loading...