ছাত্রলীগের জন্য টাস্কফোর্স গঠনের দাবি সুরঞ্জিতের
ছাত্রলীগে শৃঙ্খলা ফিরলে এমনিতেই অন্যান্য অঙ্গসংগঠনে শৃঙ্খলা ফিরবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। পাশাপাশি ছাত্রলীগের প্রাক্তন নীতি-পরায়ণ নেতাদের দিয়ে টাস্কফোর্স গঠনেরও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
সোমবার রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু একাডেমি আয়োজিত চলমান রাজনীতি বিষয়ে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, এখনই আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনগুলোর মাঝে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হবে। প্রথমে ছাত্রসংগঠনকে নীতিপরায়ণ ও আদর্শের দিকে নিয়ে যেতে হবে। এ জন্য তোফায়েল আহমেদ, ওবায়দুল কাদের ও সৈয়দ আশরাফের মতো ছাত্রলীগের প্রাক্তন নীতিপরায়ণ নেতাদের নিয়ে টাস্কফোর্স গঠন করতে হবে।
তারা সারা দেশে ঘুরলেই ছাত্রলীগসহ অন্যান্য অঙ্গসংগঠনে শৃঙ্খলা, আদর্শ ও নীতিপরায়ণতা ফিরিয়ে আসবে। বন্দুকযুদ্ধ বা ক্রসফায়ার করে ছাত্রলীগে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে না।
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা জঙ্গি অর্থায়ন বন্ধ করতে পারব না, ততক্ষণ পর্যন্ত জঙ্গি মূলোৎপাটন করা সম্ভব নয়। এ ধরনের অসংখ্য জাতীয়ভাবে জঙ্গি অর্থায়ন হচ্ছে ও আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে জঙ্গি অর্থায়ন ঢুকছে। আর এ টাকার পরিমাণ এক/দুইশ নয়, হাজার হাজার কোটি টাকা।’
তিনি বলেন, আমেরিকায় প্রতি দশ হাজারে একজন, ভারতে বিশ হাজারে একজন আর বাংলাদেশে প্রতি দেড় লাখে একজন বিচারক। তাহলে বিচারটা কোথায় হবে? আগে মামলা ছিল ২৮ লাখ, এখন ৩০ লাখ। তাই এ সব মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করার জন্য সারা দেশে অন্তত ৫ হাজার বিচারক নিয়োগ দেওয়া দরকার। তাদেরকে দ্রুত ট্রেনিং দিয়ে আদালতে পাঠাতে হবে। পাশাপাশি বিচারকদের বসার জায়গা বাড়ানোর জন্য নতুন আদালত ভবন নির্মাণ করাতে হবে।
টিআইবির প্রতিবেদন নিয়ে মন্তব্য করে তিনি বলেন, টিআইবি রিপোর্ট দিলেই তাদের রিপোর্টের বিরোধিতা করতে হবে, এটি হতে পারে না। আর তারা যা দিয়েছে, সেটাও যে সত্যের পরাকাষ্ঠা এটাও বিশ্বাস করি না। কোনো দেশ ভূমি ব্যবস্থার সংস্কার না করে এগোতে পারে না। বাংলাদেশের ভূমি ব্যবস্থার সংস্কার করতে হলে আগে এ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন করতে হবে। পাশাপাশি নামজারিটাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আওয়ামী লীগের উপকমিটির সহ-সম্পাদক নায়ায়ণ দেব নাথের সভাপতিত্বে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশেরপত্র/এডি/আর