Connecting You with the Truth

যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে সেনা মোতায়েনের নির্দেশ ট্রাম্পের

অভিবাসন রোধে দক্ষিণ সীমান্তে সেনা মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সামরিক বাহিনীর একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এক হাজার সেনা এবং পাঁচশো নৌবাহিনীর সদস্যকে ক্যালিফোর্নিয়ার সান ডিয়েগো এবং টেক্সাসের এল পাসোতে স্থানান্তরিত করা হবে। তারা সীমান্ত মিশনে কাজ করবেন, তবে আইন প্রয়োগের কাজের সাথে জড়িত থাকবেন না।

এই সদস্যদের সীমান্তে পাঠানোর জন্য দুটি সি-১৭, দুটি সি-১৩০ বিমান এবং হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হবে। ভারপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষা সচিব রবার্ট সেলেসেস বলেছেন, পাঁচ হাজারের বেশি অবৈধ অভিবাসী সরাতে সামরিক বিমান সরবরাহ করা হবে।

হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট জানিয়েছেন, দক্ষিণ সীমান্তে আরও ১৫০০ সেনা পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি বলেন, যারা অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অবৈধ অভিবাসন রোধে হাউসে ‘লেকেন রাইলি’ আইনের একটি সংশোধিত সংস্করণ ২৬৩-১৫৬ ভোটে পাস হয়েছে। বিলটি ইতিমধ্যে সিনেটে পাস হওয়ায় এখন প্রেসিডেন্টের স্বাক্ষরের অপেক্ষায়। এই আইন অনুযায়ী, সুনির্দিষ্ট অপরাধে অভিযুক্ত অনিবন্ধিত অভিবাসীদের আটক করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লডিয়া শেইনবাউম জানিয়েছেন, দুই দেশের মধ্যে অভিবাসন ও নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা চলছে। তিনি জানান, মেক্সিকো ট্রাম্পের প্রস্তাবে সম্মতি দেয়নি, যেখানে আশ্রয়প্রার্থীদের মেক্সিকোতে অপেক্ষা করতে বলা হয়েছিল।

দক্ষিণ সীমান্তে কড়াকড়ি আরোপের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে একাধিক নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন। এসব আদেশের মধ্যে রয়েছে সীমান্তে জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা এবং অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা। ট্রাম্প আরও বলেন, মাদক চোরাকারবারী চক্রগুলোকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আখ্যা দেওয়া হবে।

Comments
Loading...