সালথায় কর্মসৃজন প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ!
ফরিদপুর ব্যুরো , মোঃ খালেদুর রহমান ঃ
ফরিদপুরের সালথায় অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসৃজন প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা গেছে, ২০১৫-২০১৬ অর্থ বছরে উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নে ২ শ’ জন শ্রমিক বরাদ্দ দেওয়া হয়। ইউনিয়নের ৪টি প্রকল্পে বরাদ্দকৃত এই ২ শ’ শ্রমিকের কাজ করার কথা থাকলেও মাত্র ৬৮ থেকে সর্বচ্চ ৮০ জন শ্রমিক দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে বলে প্রকল্প সভাপতিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।
সরেমজিনে গিয়ে দেখা যায়, ইউনিয়নের সোনাপুর হালিমের বাড়ির মোড় পাকা রাস্তা হতে যোগারদিয়া ঈদগাহ পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ কাজে বরাদ্দকৃত ৮০ জন শ্রমিকের মধ্যে মাত্র ২৯ থেকে সর্বচ্চ ৩৫ জন, বড় বাংরাইল পলাশ মিয়ার বাড়ির নিকট হতে গৌড়দিয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিস পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ কাজে ৬০ জনের মধ্যে মাত্র ১৯ থেকে সর্বচ্চ ২২ জন, নটখোলা মিস্ত্রিপাড়া মসজিদ সংলগ্ন পাকা রাস্তা হতে সমিরের বাড়ি হয়ে শরীফপাড়া পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ কাজে ৩০ জনের মধ্যে মাত্র ৯ থেকে সর্বচ্চ ১০ জন, গোপালিয়া মোসলেমের বাড়ির কালভাট থেকে পশ্চিমে ইবারত কাজীর বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ কাজে ৩০ জনের মধ্যে মাত্র ১১ থেকে সর্বচ্চ ১৩ জন শ্রমিক কাজ করছেন। এসব প্রকল্পের কাজে নিয়জিত একাধিক শ্রমিক জানান, কাজের শুরু থেকেই কম শ্রমিক দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে। অথচ ইউনিয়ন ট্যাক অফিসারের সাথে সিন্ডিকেট করে গত দুই সপ্তাহে প্রায় শতভাগ বিল উত্তোলন করে নেয় সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের সভাপতিরা।
অনিয়মের কথা স্বীকার করে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান আবু জাফর মোল্যা বলেন, ট্যাক অফিসারকে ম্যানেজ করে প্রথম দুই সপ্তাহের বিল উত্তোলন করে প্রকল্পের পিআইসিরা ভাগাভাগি করে নিয়েছেন বলে আমি জানতে পেরেছি।
সব অভিযোগ অস্বীকার করে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের ট্যাক অফিসার নুরুজ্জামান খান বলেন, ৪টি প্রকল্পতেই বরাদ্দকৃত প্রায় সব শ্রমিক উপস্থিত ছিলেন। দুই একটি প্রকল্পে ২-১ একজন শ্রমিক কম থাকতে পারে।
সোনাপুর ইউপিতে কর্মসৃজন কাজে অনিয়মের বিষয়টি স্বীকার করে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা কাজী লিয়াকত হোসেন বলেন, ইউএনও স্যারকে জানিয়ে এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সালথা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিশ্বাস রাসেল হোসেন বলেন, সোনাপুরে কর্মসুচির কাজে অনিয়ম হলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।