লক্ষ্মীপুরে স্বরসতী পূজার প্রস্তুতি শেষ মুহুর্তে
রুবেল হোসেন, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসব বিদ্যার দেবী শ্রী শ্রী স্বরসতী প্রতিমার রং তুলির আচঁড় প্রায় শেষ। এখন চলছে সাজসজ্জার কাজ। মাত্র এক দিনপর আগামী শনিবার সারাদেশের ন্যায় লক্ষ্মীপুরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও পাড়া-মহল্লায় শ্রী পঞ্চমী তিথিতে ঘটস্থাপন ও আহব্বানের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে স্বরসতী পূজা। বিভিন্ন মÐপে কারিগরদের নিপুন হাতের রঙের ছোঁয়া আর সাজসজ্জার কাজে ব্যস্ত সময় পার করেছে কারিগররা।
এ উৎসবকে ঘিরে জেলার বিভিন্ন মন্দিরে দেড় থেকে দু’মাস আগ থেকে প্রতিমা তৈরির কাজ নিয়েছেন কারিগররা। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত দক্ষ কারিগররা তাদের নিপুন হাতে তৈরি করছেন এসব প্রতিমা। ইতিমধ্যে অধিকাংশ পূজামন্ডপের প্রতিমা গড়ার প্রধান কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। এখন শেষ মূহুর্তে চলছে রঙের আছঁড়।
জানা যায়, জেলা শহরের সমসেরাবাদ মনসা বাড়ি মন্দির, শ্রী শ্রী আনন্দময়ী কালি বাড়ি, শ্যাম সুন্দর জিউর আখড়া, শাঁখাড়ীপাড়া রক্ষাকালী মন্দির ও ভূড়া কর্তার আশ্রমসহ জেলার বেশ কয়েকটি পুজা মন্ডপে চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ। ছোট-বড় বিভিন্ন ধরনের প্রতিমা গুলো বিক্রির জন্য তৈরির কাজ চলছে এসব মন্দির গুলোতে। এক একটি প্রতিমা ২ হাজার টাকা থেকে ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত বিভিন্ন দামে বিক্রি করা হচ্ছে।
সাজসজ্জার কাজ শেষ হলেই বিদ্যারদেবী স্বরসতী প্রতিমা ক্রয় করে নিয়ে যাবে জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও পাড়া-মহল্লার সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। শিক্ষার্থীদের জ্ঞানের দেবী শ্রী শ্রী স্বরসতীর আগমনে শনিবার দিনব্যাপী এ উৎসবের আয়োজন করা হবে।
ওই দিন সকালে স্বরসতী দেবীর ঘটস্থাপন করে আহব্বান করবে পূজাড়ীরা। পুষ্পাঞ্জলী নিয়ে দেবীর কাজে প্রার্থনা করবে বক্তরা। তাছাড়া রাতে আরতী নৃত্য প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শেষ হবে স্বরসতী পূঁজা উৎসব।
সরেজমিনে লক্ষ্মীপুর আনন্দময়ী কালি বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, সাতক্ষিরা জেলা থেকে আগত কারিগররা করছে প্রতিমায় রং দেওয়ার কাজ। তারা জানান, ডিসেম্বর থেকে তারা প্রতিমা তৈরির কাজ শুরু করেছে। এক একটি প্রতিমা তৈরি করতে তাদের ২/৩ দিন সময় লাগে। বড় প্রতিমা তৈরি করতে ৪ দিনও সময় লেগে যায়। তারা আরোও জানান, এবারে মন্দিরের কর্তৃপক্ষ আমাদের ৪ কারীগরকে প্রায় ৪০টি দেবী প্রতিমা তৈরীতে প্রায় ২ মাস সময় বেদে দিয়েছে। আমরা সঠিক ভাবে প্রতিমা তৈরীর কাজ শেষ পর্যায়ে নিয়ে এসেছি। আশা করছি আজকের মধ্যেই দেবীমুর্তির কাজ সম্পূর্ণ হবে।
বাংলদেশ হিন্দু যুব মহাজোট লক্ষ্মীপুর শাখার সাধারন সম্পাদক বাবু কেশব চন্দ্র দাস জানান, বিদ্যার দেবী স্বরসতী পূজা বিশেষ করে পাড়া-মহল্লায় বেশি হয়ে থাকে। এ পূজায় শিক্ষার্থীরাই বেশি এগ্রিহী তাদের বিদ্যার দেবী বলে। ওই দিন সকল শিক্ষার্থীরা দেবীর চরনে পুষ্পাঞ্জলী দিয়ে দেবীর কাছে বিদ্যার জন্য আরাধনা করবেন।