উচ্চ আদালতে সম্প্রচার নীতিমালার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট
স্টাফ রিপোর্টার:
‘জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা, ২০১৪’ এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। গতকাল সকালে রিট আবেদনটি দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনূছ আলী আকন্দ। স্বাধীন সম্প্রচার কমিশন গঠনের বিধান রেখে জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা, ২০১৪ অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। গতকাল মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ নীতিমালার অনুমোদন দেওয়া হয়। রিটে এ নীতিমালা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- সে মর্মে রুল চাওয়া জারি আর্জি জানানো হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও তথ্য সচিবকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
নীতিমালায় বলা হয়েছে, স্বাধীন এ কমিশন সম্প্রচার নীতিমালা বাস্তবায়নে কোড অব গাইডেন্স গঠন করবে। নীতিমালা অনুযায়ী লাইসেন্স দেওয়ার সুপারিশও করবে কমিশন। সার্চ কমিটির মাধ্যমে সম্প্রচার কমিশনের চেয়ারম্যান বা প্রধান নির্ধারণ করা হবে। সাংবাদিক, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিষয়ের শিক্ষক, সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সমন্বয়ে এ কমিশন গঠিত হবে। সম্প্রচার নীতিমালা ও কমিশনের জারি করা নিয়মাবলি যথাযথভাবে প্রতিপালিত হচ্ছে কি না, তা পরিবীক্ষণ করবে এ কমিশন। সম্প্রচার প্রতিষ্ঠানের কোনো অনুষ্ঠান, সংবাদ বা বিজ্ঞাপন যাতে কোনো নাগরিকের ব্যক্তিগত ক্ষতির কারণ না হয় সে বিষয়টি মনিটরিং করবে কমিশন। নীতিমালায় রয়েছে, সশস্ত্র বাহিনী ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি কটাক্ষ করা যাবে না এবং সশস্ত্র বাহিনী ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত কোনো বাহিনীর প্রতি কটাক্ষ করা বা অবমাননাকর দৃশ্য বা বক্তব্য প্রচার করা যাবে না। অপরাধীদের দণ্ড দিতে পারেন এমন সরকারি কর্মকর্তাদের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করার মতো দৃশ্য বা বক্তব্যও প্রচার করা যাবে না। জনস্বার্থ বিঘিœত হতে পারে এমন কোনো বিদ্রোহ, নৈরাজ্য, হিংসাÍক ও বিদ্বেষমূলক ঘটনা প্রচার করা যাবে না। নীতিমালায় বলা হয়, সামাজিক দায়বদ্ধতা, ভাষা, সংস্কৃতি, ধর্মীয় মূল্যবোধ সমুন্নত রেখে সংবাদ ও অনুষ্ঠান প্রচার করতে হবে। সম্প্রচারে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও চেতনা, রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি এবং বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় আদর্শ ও সামাজিক মূল্যবোধ নীতিমালায় সমুন্নত রাখতে বলা হয়েছে। রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বিঘিœত হতে পারে এমন সামরিক, বেসামরিক বা সরকারি তথ্য প্রচার করা যাবে না। নীতিমালার আলোকে সম্প্রচার কমিশন এবং এ স¤পর্কিত আইন করা হবে। তবে কমিশন ও আইন না হওয়া পর্যন্ত সম্প্রচার স¤পর্কিত নীতিমালা বাস্তবায়নে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। কমিশন গঠনের পর আইনের মাধ্যমে স্বাধীনভাবে কাজ করবে।