দেশজুড়ে
বিয়ের প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় ৮ম শ্রেণীর ছাত্রীকে অপহরণ
অভিযোগ ও এলাকাবাবাসীদের সুত্রে জানা যায়, হাতীবান্ধা উপজেলার গোতামারী ইউনিয়নের দইখাওয়া গ্রামের জয় প্রকাশ সরকারের ৮ ম শ্রেণী পড়ুয়া মেয়ে চৈতাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়া হলে তা প্রত্যাখান করে পরিবার। এই অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার চৈতী রানী গোতামারী ডিএনএসসি স্কুলের নববর্ষের অনুষ্ঠান শেষে বাড়ি ফেরার পথে তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায় রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার অনুকুল ও তার সহযোগিরা। এনিয়ে চৈতীর বাবা জয়া প্রকাশ পরদিন হাতীবান্ধা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। কিন্তু রোববার বিকেল পর্যন্ত পুলিশ ওই মামলাটি নথিভুক্ত করেনি বলে জানা গেছে। এই অবস্থায় মেয়েটির অসহায় পরিবার চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে গোতামারী ডিএনএসসি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আহম্মেদ হোসেন রঞ্জু ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, চৈতী রানী স্কুলের একজন মেধাবী শিক্ষার্থী। তাকে এভাবে তুলে নিয়ে যাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। পাশাপাশি মেয়েটিকে উদ্ধারে প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
মেয়েটির বাবা জয় প্রকাশ বলেন, আমি গরীব মানুষ। তাই থানা পুলিশের কাছে মেয়েকে উদ্ধারে মামলা দিয়েছি। কিন্তু আজ (রোববার) পর্যন্ত মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়নি বলে জানান তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কাউনিয়া উপজেলার স্বাব্দী মন্দির পাড়া গ্রামের বাসিন্দা অনুকুল প্রায় সময় তার নানা বাড়ি হাতীবান্ধার দইখাওয়া গ্রামে যাতায়াত করতো। সেই সুবাদে অনুকুলের নজর পড়ে দইখাওয়ার হোটেল শ্রমিক জয়া প্রকাশ সরকারের ৮ম শ্রেনী পড়ুয়া সুন্দরী মেয়ে চৈতী রানীর উপর। পরে সে তার মামা মনমোহনকে দিয়ে মেয়েটিকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে তা প্রত্যাখান করে পরিবার। মুলত সেকারনেই অনুকুল ও তার সহযোগিরা চৈতীকে অপহরণ করে বলে দাবি পরিবারের। এনিয়ে অপহৃত চৈতী রানীর বাবা বাদি হয়ে ৮ জনের নাম উল্লেখ করে পরদিন হাতীবান্ধা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ঠিকই। কিন্তু পুলিশ রহস্যজনক কারণে রোববার বিকেল পর্যন্ত মামলাটি নথিভুক্ত করেনি বলে জানান মেয়েটির বাবা জয় প্রকাশ সরকার।
এ ব্যাপারে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মতিন প্রধান সাংবাদিকদের বলেন, মেয়েটি উদ্ধারসহ প্রয়োজনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।