মুন্সিগঞ্জে রেজাউলের পোল্ট্রি ফার্মে সাফল্যের ছোঁয়া
সিরাজদিখানে রেজাউল করিমের পোল্ট্রি ফার্ম। ছবি: রোমান হাওলাদার।
রোমান হাওলাদার, সিরাজদিখান. ২০০৭ সাল থেকে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার চোরমর্দ্দন গ্রামের রেজাউল করিম পোল্ট্রি খামার চালু করেন। লেখাপড়ার পাশাপাশি নিজেকে কর্মঠ ও দক্ষ সাবলম্বি হিসেবে গড়ে তোলতে তার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সংসারে চার ভাই ও দুই বোনের মধ্যে রেজাউল করিম সবার ছোট। মাধ্যমিক পরিক্ষায় পাশ করে নিজ উদ্দোগে সিরাজদিখান যুব ও ক্রীড়া উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে প্রশিক্ষন গ্রহণ করে তিনি প্রথমে ৫০০ মুরগি নিয়ে পোল্ট্রি ব্যবসা শুরু করে ২০১৬ সালে তার পোল্ট্রি ফার্মে ১০০০ মুরগি পালন করতে সক্ষম হয়েছেন।
শুধু তাই নয় পাশাপাশি তিনি যুব উন্নয় অধিদপ্তরের সহযোগিতায় এই ব্যবসাকে সাফল্যের দৌড়গোড়ায় পৌছতে আরো দুইটি খামার করার চেষ্টাও করছেন। এখন পোল্ট্রি খামারের ব্যবসা করে নিজের সংসার এবং নিজের লেখাপড়ার খরচ নিজেই চালাচ্ছেন। রেজাউল করিমের এই ছোট্ট প্রচেষ্টা যেন দেশের যুব সমাজে এনে দিতে পারে পরিবর্তনের ছোঁয়া।
রেজাউল করিম জানান, আমি মনে করি আমার মত যদি কেউ নিজ উদ্দোগে কিছু করার চেষ্টা করে তবে অবশ্যই সফলতা পাবে এবং এইক সংঙ্গে লেখাপড়ার পাশাপাশি ব্যবসাকে প্রাধান্য দিলেই যে কেউ সমাজে প্রতিষ্ঠিত হতে পারবে।
সিরাজদিখান উপজেলা যুব ও ক্রীড়া কর্মকর্তা ডলি রাণী নাগ বলেন, রেজাউল করিমের মত দেশের যুবকরা যদি লেখাপড়ার পাশাপাশি আত্মকর্ম সংস্থান তৈরি করে নিজেকে সামলম্বি করতে পারে এবং দেশ থেকে বেকার সমস্য দূরিকরণে সম্ভব।