ঢাকা বিভাগ
খানা-খন্দকে ভরা ফরিদপুর-সালথা-ময়েনদিয়া সড়ক: যাত্রীদের দূর্ভোগ চরমে
হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর প্রতিনিধি
অনেক উন্নয়ন হইছে আমাগো সালথা উপজেলায়। মাত্র একটা রাস্তা ভাল না হওয়ায় ঘর হইতে বাইর হইলেই দুর্ভোগ নাইমা আসে আমাগো সবাইর। বিশেষ করে এ রাস্তা দিয়ে গাড়িতে করে রোগী ও গর্ভবতি মহিলাদের হাসপিটালে নিয়ে যাওয়ার সময় যে কষ্ট হয় আমাগো তা ভাষায় বলা যায় নারে চাচা। মনের ভিতের অনেক ভয় হয় রোগী আবার গাড়ির ঝাঁকুনিতে মইরা না যায়। কাইলক্যা এমবুলেন্সে করে আমার রোগা একটা ভাইকে ফরিদপুর হাসপিটালে নিয়ার সময় যে বিপদে পড়ে ছিলাম সে বিপদের কথা আজীবন মনে থাগবো। গাড়ির ঝাঁকুনিতে ভাই আমার মইরা যাবার কায়দা প্রায়।
ফরিদপুর থেকে যাত্রীবাহী বাসযোগে সালথা ফেরার পথে ফরিদপুর-সালথা-ময়েনদিয়া সড়কের বেহাল অবস্থা নিয়ে আলাপকালে এভাবেই কথাগুলো বলে ছিলেন রশিদ শেখ নামে ৬৫ বছর বয়সী এক মুরব্বী। তিনি সালথা উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের রঘুয়ারকান্দী গ্রামের বাসিন্দা। আলাপকালে তিনি আরো জানান, বেহাল দশায় পরিণত হওয়া এ সড়কে চলাচলরত যাত্রীবাহী বাসে একবার যেসব যাত্রীরা উঠে পরে তারা আর উঠতে চায়না। কারণ সড়কটি অতিরিক্ত খারাপ হওয়ায় বাসের ঝাঁকিতে অসুস্থ্য হয়ে পড়তে হয় যাত্রীদের। তাই বেশিরভাগ যাত্রী এখন বাইপাস সড়ক ব্যবহার করে বাড়তি ভাড়া দিয়ে ছোট গাড়িতে চলাচল করছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে সড়কটি সংস্কার করার জোর দাবি জানান তিনি।
জানা গেছে, ফরিদপুর-সালথা-ময়েনদিয়া সড়ক ব্যবহার করে প্রতিদিন জেলা ও বিভাগীয় শহরে যাতায়েত করে থাকেন নানা পেশার মানুষ। কয়েক বছর ধরে সড়কটির সিংহভাগস্থান খানা-খন্দকে ভরে থাকলেও দেখার কেউ নেই। সড়কের বিভিন্নস্থানে পিচ উঠে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় পণ্য-যাত্রীবাহী যানবাহন ও জনসাধারণের চলাচলে চরম সমস্যা হচ্ছে। সড়কটি সংস্কার না করায় বেশিভাগ সমস্যার সম্মুখিন হচ্ছে যাত্রীবাহী পরিবহন সংশ্লিষ্টরা। যাত্রীসহ গাড়ি চালাতে গিয়ে নানা ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হচ্ছে তাদের। সড়কটি নিয়ে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় একাধিকবার সংবাদ প্রকাশিত হলেও নজরে আসেনি সড়ক ও জনপথ কর্তৃপক্ষের। ফলে চরম দূর্ভোগে পোহাতে হচ্ছে এ আঞ্চলের বাসিন্দাদের।
তবে এব্যাপারে স্থানীয় এমপি ও তাঁর ছেলে আয়মন আকবার বাবলু চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, রাস্তাটি একনেকে পাশ হওয়ার অপেক্ষায় আছে। দ্রুত
রাস্তাটি মহাসড়কে উন্নীত করা হবে।