সারা দেশে চলছে নৌ-ধর্মঘট
বেতন-ভাতা বৃদ্ধিসহ চার দফা দাবিতে সারা দেশে অনির্দিষ্টকালের নৌ ধর্মঘট চলছে। এতে অচল হয়ে পড়েছে দেশের প্রধান নদী বন্দরগুলো। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে এ ধর্মঘট শুরু হয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছে যাত্রীরা।
বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাহ আলম জানান, চার দফা দাবিতে মধ্যরাত থেকে শ্রমিকরা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু করে। তাদের এই আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেছে ১৭টি নৌযান শ্রমিক সংগঠন। নৌ শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের ব্যানারে এই অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।
দাবিগুলো হল- নৌযান শ্রমিকদের মাসিক ন্যূনতম ১০ হাজার টাকা মজুরি নির্ধারণ, কর্মস্থলে দুর্ঘটনায় নিহত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ পুননির্ধারণ, নৌপথে সন্ত্রাসী-ডাকাতি -চাঁদাবাজি বন্ধ ও নদীর নাব্যতা রক্ষায় পদক্ষেপ গ্রহণ।
শাহ আলম বলেন, সারা দেশে একযোগে প্রায় দুই লাখ শ্রমিক এই আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত চার দফা দাবি মেনে নেওয়া না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত শ্রমিকদের এই অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে।
বেতন বৈষম্যের ফলে নৌযান শ্রমিকরা মানবেতর জীবন যাপন করছে। কিন্তু নৌযান মালিকদের বারবার অবহিত করার পরও তারা শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বাড়ানোর বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলেও জানান তিনি। অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে তেলবাহী জাহাজ ছাড়াও অন্যান্য নৌযানের শ্রমিকরা আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
মজুরি বাড়ানোসহ ১৫ দফা দাবিতে এর আগে গত ২০ এপ্রিল থেকে নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের ব্যানারে সারা দেশে নৌযান শ্রমিকেরা ধর্মঘট শুরু করেন। ছয় দিনের মাথায় সেটি স্থগিত হয়।
উল্লেখ্য, গত ২৬ এপ্রিল নৌযান শ্রমিকদের আন্দোলনের কারণে নৌমন্ত্রী শাজাহান খান জাতীয় স্কেলের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বেতন বাড়ানোর ঘোষণা দেন। যেখানে সর্বনিম্ন ৯ হাজার ও সর্বোচ্চ ১৭ হাজার ১০০ টাকা বেতন ঘোষণা করা হয়। তবে তা এখনও বাস্তবায়িত হয়নি।