রংপুর থেকে হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী কাশবন
হাসান আল সাকিব: রংপুরের বিভিন্ন স্থান থেকে হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী কাশবন৷ নিকট অতীতেও দেখা গেছে শরৎকাল এলেই গ্রামবাংলার ঝোপ-ঝাড়,রাস্তা-ঘাট ও নদীর দুই ধারসহ আনাচে-কানাচে কাশফুলের মন মাতানো
নাচানাচি৷ কাশবনের ফুলগুলো দোল খেত একটার সাথে আর একটা৷ এ সময় অজান্তেই মানুষের মনে ভিন্ন রকম আনন্দের ঝিলিক বয়ে যেত৷ নদীর দুই ধারে এলাকাগুলোতে শরৎকালের সেই চিরচেনা দৃশ্য আর দেখা যায় না৷ কালের আবর্তে হারিয়ে যাচ্ছে কাশবন৷ এখন গ্রামবাংলায় বিচ্ছিন্নভাবে থাকা যে কয়টি কাশফুল চোখে পড়ে সেগুলোও হারিয়ে যাচ্ছে৷ এ কাশবন চাষে বাড়তি পরিচর্যা ও সার প্রয়োগের প্রয়োজনও নেই৷ আপনা থেকে অথবা বীজ ছিটিয়ে দিলেই কাশবনের সৃষ্টি হয়ে থাকে৷ কাশবনের ব্যবহার বহুবিধ৷ চারাগাছ একটু বড়
হলেই এর কিছু অংশ কেটে গরু-মহিষের খাদ্য হিসাবে ব্যবহার করা যায়৷ কাশ দিয়ে গ্রামের বধূরা ঝাটা,ডালি,দোন তৈরি করে থাকে৷ জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে প্রয়োজনের তাগিদেই মানুষ ঝোপ-ঝাড়,বন- জঙ্গল ও অন্যান্য পতিত স্থান কেটে কৃষি জমি সম্প্রসারণ করাসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং আবাসিক এলাকা গড়ে তুলেছেন৷ এতে প্রকৃতিতে অপরুপ শোভাদানকারী কাশবনসহ গ্রামবাংলার অনেক ঐতিহ্যবাহী ও মন মাতানো দুশ্যগুলো হারিয়ে
যাচ্ছে৷ প্রবীণ বয়োবৃদ্ধরা বলেন,মানুষ একটু সচেতন হলেই কাশবনসহ গ্রামবাংলার চিরচেনা ঐতিহ্যগুলো হারিয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা। বিডিপত্র/আমিরুল