Connecting You with the Truth

কারমাইকেল কলেজের শতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষে আনন্দ শোভাযাত্রা

আমিরুল ইসলাম,রংপুর: শতবর্ষ পূর্তির মূল আয়োজনের প্রধান অতিথি নিয়ে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির দ্বন্দ নিরসনে কারমাইকেল কলেজ প্রশাসন ব্যর্থ হয়ে বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান স্থগিত করলেও থেমে থাকেনি কলেজের প্রাক্তন ছাত্র পরিষদ। অবশেষে তাদের ব্যক্তিগত উদ্যোগেই দীর্ঘদিনের কাঙ্খিত উৎসবের মিলন মেলায় আনন্দ উচ্ছাসে মেতে উঠলো হাজারো প্রবীণ-নবীন শিক্ষার্থীসহ রংপুরের সাধারণ মানুষজন।

শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুর থেকেই লালবাগ রেলগেট থেকে কলেজ ক্যাম্পাস পর্যন্ত প্রাক্তন ও নবীন শিক্ষার্থীসহ অভিভাবক ও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের পদচারণ মুখরিত হয়ে উঠে রংপুর মহানগরী। পরে বিকেল চারটা পনেরো মিনিটে কারমাইকেল কলেজের মূল ফটক থেকে একটি বিশাল শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি কলেজ ক্যাম্পাস ঘুরে লালবাগ হয়ে খামার মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।

‘শতবর্ষে শত প্রাণ-ঐতিহ্যের জয়গান’ শ্লোগানে আয়োজিত কারমাইকেল কলেজের শতবর্ষ উদযাপনে অংশ নেয়া প্রবীণ-নবীন শিক্ষার্থীরা শোভাযাত্রা থেকে স্থগিত মূল অনুষ্ঠানের জন্য দাবি জানিয়ে শ্লোগান দিতে থাকেন।

একশত পাউন্ড কেক কেটে উদযাপিত হলো কারমাইকেল কলেজের শতবর্ষপূর্তি

এদিকে শোভাযাত্রা শেষে লালবাগ মোড় কলেজ গেটে একটি ১০০ পাউন্ডের কেক কাটা হয়। এসময় মোমবাতি জ্বালিয়ে গৌরবের শতবছরের এই অনুষ্ঠানকে আরো গৌরবান্বিত করতে আতোশ বাতি, আলোকসজ্জ্বা পাশাপাশি পটকা ফুটানো হয়। আকাশে উড়িয়ে দেয়া হয় শতাধিক বেলুন ও ফানুস। সবমিলে লালবাগ মোড় থেকে কলেজ ক্যাম্পাস হয়ে উঠে আনন্দ উৎসবে মাতোয়ারা শিক্ষার্থীদের উচ্ছাসের কেন্দ্রস্থল।

কেককাটা শেষে প্রাক্তন ছাত্র পরিষদের পক্ষে কারমাইকেল কলেজের সাবেক ভিপি আলাউদ্দিন মিয়া, অ্যাডভোকেট দিলশাদ ইসলাম মুকুল, রাকিবুস সুলতান মানিক, সাবেক ছাত্রনেতা ওবায়দুর রহমান ময়না, তৌহিদুর রহমান টুটুল, মাহবুব রহমান হাবু, ফরহাদুজ্জামান ফারুক শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন।

উলে­খ্য, ১৯১৬ সালের ১০ নভেম্বর প্রতিষ্ঠিত কারমাইকেল কলেজ চলতি বছরের ১০ নভেম্বর শতবছরে পদাপর্ণ করে। শতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষ্যে কলেজ প্রশাসন ২৩ ও ২৪ ডিসেম্বর মূল অনুষ্ঠানের জন্য তারিখ নির্ধারণ করে। কিন্তু অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি নিয়ে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে দেয়া প্রস্তাব নিয়ে রাজনৈতিক দ্বন্দ সৃষ্টি হওয়ায় কলেজ প্রশাসন ১৪ ডিসেম্বর অনিবার্যকারণ দেখিয়ে মূল অনুষ্ঠান স্থগিত ঘোষণা করে। এদিকে হঠাৎ করেই বহুল কাঙ্খিত মূল অনুষ্ঠান স্থগিত করায় কলেজ প্রশাসনের প্রতি বিক্ষুদ্ধ হয়ে প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থী-শিক্ষকরা। একারণেই কলেজ প্রশাসনের স্থগিত করে দেয়া তারিখেই কলেজের শতবছরের সম্মান রক্ষার্থে প্রাক্তন ছাত্র পরিষদ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

Comments
Loading...