প্রতিষ্ঠার পরে প্রশাসক দিয়েই চলছে বাঘার চকরাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদ
সেলিম ভান্ডারী, বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাঘা উপজেলার চরাঞ্চলে পৃথক একটি ইউনিয়ন পরিষদ গঠনের পর কোনো নির্বাচিত প্রতিনিধি দেওয়া হয়নি। ২০১২ সালে গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নতুন ইউনিয়ন পরিষদ গঠনের পর থেকে জনপ্রতিনিধি ছাড়াই চলছে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম। স্থানীয় সরকারের এ স্তরে একাধিকবার আইন প্রণয়ন করা হলেও নির্বাচন সংক্রান্ত আইন বাস্তবায়ন করা হয়নি। এদিকে গত বছরের ২৭ জুন প্রথম নিয়োগ দেওয়া প্রশা কের মেয়াদ শেষ হওয়ার প্রায় ৬ মাস পর প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
জানা যায়, ২০১২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বাঘা উপজেলার গড়গড়ি, মনিগ্রাম ও পাকুড়িয়া ইউনিয়নের অর্ন্তভূক্ত চরাঞ্চলে বসবাসরত ১২ টি গ্রামের ২০ হাজার ৪৭২ জনবল নিয়ে চকরাজাপুর নামে নতুন ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠিত হয়। এর প্রেক্ষিতে কামরুজ্জামানসহ কয়েকজন বাদি হয়ে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করেন। মামলা চলাকলিন সময়ে অবিভক্ত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা পূর্বের ন্যায় দায়িত্ব পালন করেন। মামলার জটিলতায় দীর্ঘ ২ বছর আইনি লড়াই শেষে ২০১৪ সালের ১৯ অক্টোবর রিট পিটিশনটি খারিজ করে দেয় মহামান্য হাইকোর্ট। স্থানীয়রা নির্র্বাচনের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের দাবি জানালে, ৬ মাসের জন্য প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়।
২০১৫ সালের ১ জানুয়ারী থেকে ১ম দফায় ১২০ দিন ও দ্বিতীয় দফায় ৬০ দিন দায়িত্ব পালন করেন মৎস্য কর্মকর্তা। ২৭ জুন তার মেয়াদ শেষ হওয়ার ৬মাস পর গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তাকে পুনরায় প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
চকরাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুল আযম জানান, এই ইউনিয়নে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি না থাকায় বয়স্কভাতা, বিধবাভাতা, প্রতিবন্ধীভাতা, মাতৃত্বকালিনভাতাসহ এলজিএসপি ও শরীফ প্রকল্পের সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ইউনিয়নবাসি। নির্বাচনের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি নির্বাচন দাবি করেও এর পক্ষে কোন ফলাফল পাওয়া যায়নি।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুজিবুল ইসলাম জানান, নির্বাচন সংক্রান্ত কোন চিঠিপত্র তার অফিসে আসেনি। সময়মতো কর্তৃপক্ষ এর ব্যবস্থা নিবেন।