এছাড়াও কিছু শারীরিক সমস্যা যেমন-পারকিনসন্স ডিজিজ, থাইরয়েডের সমস্যা, ডায়াবেটিস, জ্বর, শরীরে গ্লুকোজের স্বল্পতা, মেনোপোজের পর ইত্যাদি কারণে হাত-পা ঘামতে পারে। তাই সঠিক কারণ চিহ্নিত না করে চিকিত্সা করা উচিত নয়। আগে চিকিত্সকের পরামর্শ অনুযায়ী পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে সঠিক ডায়াগনসিস করে কারণ খুঁজতে হবে। পরে চিকিত্সা করতে হবে।
সাধারণত অ্যালুমিনিয়াম ক্লোরাইডযুক্ত লোশন বা ক্রিম ব্যবহার করলে হাত পায়ের ঘামা কমে যায়। এছাড়াও আয়োনোফোরেসিস নামক বিশেষ থেরাপি নিলে হাত-পা ঘামা কমে যায়। এসব পদ্ধতি ছাড়াও বিশেষ ধরনের নার্ভের অস্ত্রোপচারের মাধ্যমেও হাত-পা ঘামা কমানো যায়। পাশাপাশি বটক্স ইনজেকশন দিয়েও হাত-পায়ের ঘামা সমস্যা রোধ করা যায়।
এছাড়া সারাদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে। এতে শরীরে তাপমাত্রা ঠিক থাকবে। ধূমপান, অ্যালকোহল ও ক্যাফেইন যতটা সম্ভব পরিহার করতে হবে। শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। মানসিক চাপমুক্ত থাকার চেষ্টা করতে হবে। পানি সমৃদ্ধ তাজা ফল ও শাক সবজি প্রচুর পরিমাণে খেতে হবে। তবে হাত-পায়ের ঘাম রোধে যাই করা হোক না কেন, এর আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।