অভিনব আত্মহত্যা বৃদ্ধার

চূড়ান্ত অবসাদের শিকার হয়েছিলেন। তাই নিজেকে শেষ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু আত্মহত্যার প্রক্রিয়ায় অভিনবত্বের ছোঁয়া রেখে গেলেন মধ্যবয়সীনি।

গত শুক্রবার সকালে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাঙ্ককের অদূরে এক পর্যটন খামারে আত্মহত্যা করেছেন ৬৫ বছরের এক বৃদ্ধা। হিংস্র কুমির ভর্তি পুকুরে লাফ দিয়ে জীবনদীপ নিভিয়ে ফেলার সিদ্ধান্তে প্রশ্ন উঠেছে পর্যটন কেন্দ্রের নিরাপত্তা নিয়ে।

কী ঘটেছিল সেদিন?

স্থানীয় পুলিশ সূত্রে খবর, দিনের শুরুতে পর্যটন কেন্দ্র খোলার আগেই পুকুরে ঝাঁপ দেন ওই মহিলা। তার বোন জানিয়েছেন, বেশ কিছু দিন ধরে মহিলা গভীর অবসাদে ভুগছিলেন।

ব্যাঙ্কক থেকে এক ঘণ্টার দূরত্বে প্রীচা ইয়াম-নুই অঞ্চলের সামুত প্রাকান এলাকার ওই খামারে সারা বছর ধরেই পর্যটক সমাগম হয়। এখানে বিভিন্ন প্রজাতির পশুদের দেখতে ভিড় করেন সারা বিশ্বের মানুষ। খামারে রয়েছে বেশ কয়েকটি বাঘ। আর জলাশয়ে রয়েছে কয়েকশো পূর্ণবয়স্ক কুমির। প্রতিদিন তাদের নিজে হাতে খাবার খাওয়ান পর্যটকরা।

শুক্রবার পর্যটকদের জন্য খামারের ফটক খোলার আগেই নিরাপত্তা রক্ষীদের চোখে ধুলো দিয়ে সেখানে পৌঁছে গিয়েছিলেন ওই মহিলা। কিছুক্ষণ পুকুরের ধারে অপেক্ষা করার পর আচমকা জলে ঝাঁপিয়ে পড়েন তিনি। কয়েক মিনিটের মধ্যেই কুমিরের ঝাঁক তাকে টুকরো টুকরো করে ফেলে।

প্রসঙ্গত, ব্যাঙ্কক ও তার আশেপাশে বেশ কিছু প্রাকৃতিক পর্যটন ক্ষেত্র রয়েছে যেখানে প্রথাগত চিড়িয়াখানার মতো পশুদের খাঁচাবন্দি রাখা হয় না। প্রশিক্ষকরা পশুদের নিয়ে নানা ঝুঁকিপূর্ণ খেলা দেখান। বস্তুত সেই আকর্ষণেই এসব জায়গায় প্রতিদিন ভিড় উপচে পড়ে। কিন্তু শুক্রবারের ঘটনায় থাই পর্যটন ব্যবস্থায় নিরাপত্তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখছে প্রশাসন।

Comments (0)
Add Comment