বিশ্বকাপের নিয়মই এটা। সেটা ফুটবল হোক কিংবা ক্রিকেট। বিশ্বকাপ ফাইনাল শেষে বিজয়ীর হাতে শিরোপাটা তুলে দেবেন সংশ্লিষ্ট খেলার আন্তর্জাতিক যে প্রতিষ্ঠান থাকে তার প্রেসিডেন্ট। ফুটবলে যেমন বিজয়ী দলের অধিনায়কের হাতে শিরোপা তুলে দেন ফিফা প্রেসিডেন্ট সেফ ব্ল্যাটার (১৯৯৮ থেকে)। ক্রিকেটেও তেমনি। গত বিশ্বকাপেও দেখা গেছে, বিজয়ী অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির হাতে শিরোপা তুলে দিয়েছিলেন আইসিসি প্রেসিডেন্ট শারদ পাওয়ার। তবে এবারই দেখা যাচ্ছে নিয়ম ভাঙতে যাচ্ছে আইসিসি।
মেলবোর্নে বিজয়ী দলের অধিনায়কের হাতে প্রেসিডেন্টের পরিবর্তে নতুন তৈরি করা পদবী চেয়ারম্যানই শিরোপা তুলে দেবেন। অথ্যাৎ, আইসিসি প্রেসিডেন্ট আ হ ম মোস্তফা কামালকে পাশ কাটিয়ে বিজয়ী দলের হাতে শিরোপা তুলে দেবেনে চেয়ারম্যান এন শ্রীনিবাসন। যদিও, পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে উপস্থিত থাকবেন প্রেসিডেন্ট আ হ ম মোস্তফা কামালও। আইপিএল ফিক্সিং কাণ্ডে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে অভিযুক্ত বিসিসিআইর সদ্য সাবেক প্রেসিডেন্ট নারায়নস্বামী শ্রীনিবাসন। যে কারণে তিনি সদ্য সমাপ্ত বিসিসিআইর নির্বাচেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করারই যোগ্য বলে বিবেচিত হননি। তার মতো দুর্নীতিবাজ ক্রিকেট কর্মকর্তা খুঁজে পাওয়া যাবে না। অথচ, নিয়মের বেড়াজাল তৈরি করে সেই দুর্নীতিবাজ শ্রীনিবাসনই কি না আইসিসির মূল ব্যক্তি সেজে বসে আছেন। এমনকি নিয়ম ভেঙে মেলবোর্নের পোডিয়ামে দাঁড়িয়ে বিজয়ী দলের হাতে শিরোপা তুলে দেবেন তিনি।
আইসিসি যতই বিশ্ব ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থা হোক; কিন্তু ফিফার মতো এতটা অরাজনৈতিক সংস্থা হয়ে উঠতে পারেনি তারা। সে কারণেই দেখা যায় একটি বিশেষ দেশ কিংবা গোষ্ঠিতে সব সময়ই অনৈতিক সুবিধা দিয়ে যাচ্ছে আইসিসি। এবারের বিশ্বকাপেই এর নির্লজ্জ প্রদর্শনী দেখা গেলো। শুরু থেকেই ভারতকে অনৈতিক সুবিধা দিয়ে আসছিল আইসিসি। তাদেরকে ন্যুনতম সেমিফাইনালে তুলে দেয়ার সব আয়োজন সম্পন্ন করে দিয়েছিল ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থাটি। বাংলাদেশের বিপক্ষে মাঠের আম্পায়াররাই ক্রিকেট বিশ্বকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে, আইসিসি কতটা ভারতের পকেটে ঢুকে গেছে। কিভাবে তারা ইন্ডিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলে পরিণত হয়েছে।