খেলাধুলা ডেস্ক: সিডনিতে ইনিংস হার এড়াতেই শেষ দিনে ইংল্যান্ডের দরকার ছিল ২১০। হাতে ছিল ৬ উইকেট। ৪২ রানে অপরাজিত থাকা অধিনায়ক জো রুট জনি বেয়ারস্টোকে সঙ্গে নিয়ে স্বপ্নটা ধারণ করছিলেন। কিন্তু পেটের পীড়ায় আক্রান্ত হয়ে রাতটা হাসপাতালে কাটানো ইংলিশ অধিনায়ক দলকে বেশি দূর টেনে নিতে পারেননি। সেই অবস্থা অবশ্য তাঁর ছিল না। ৫৮ রানে থাকতেই মাঠ থেকে উঠে যেতে হলো তাঁকে। পরে বেয়ারস্টো ৩৮ আর টম কারেন ২৩ রান করে কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও প্যাট কামিন্সের বোলিংয়ে তা ভেঙে পড়েছে খুব দ্রুতই। ইনিংস ও ১২৩ রানের হারে অ্যাশেজ সিরিজ ইংল্যান্ড শেষ করেছে ৪-০ ব্যবধানে। মেলবোর্নের ‘বাজে’ উইকেটকে ইংল্যান্ড এখন ধন্যবাদ দিতেই পারে। ওই টেস্টটা ড্র করেই তো ধবলধোলাই এড়াতে পেরেছে তারা।
অস্ট্রেলিয়ার প্যাট কামিন্স ৪ উইকেট নিয়েছেন ৩৯ রানে। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন মিচেল স্টার্ক ও জশ হ্যাজলউড। নাথান লায়নের নামের পাশে একটি।
সিরিজের স্কোরলাইন একপেশে মনে হলেও এবারের অ্যাশেজে কিন্তু লড়াই হয়েছে যথেষ্টই। ১৯৯৪-৯৫ মৌসুমের পর এবারই প্রথম সিরিজের পাঁচটি টেস্টই পাঁচ দিন পর্যন্ত গড়িয়েছে। তবে সিরিজের রান হয়েছে বেশে ধীরগতিতে। গড় রান রেট ২.৯৫—অ্যাশেজ সিরিজে সর্বনিম্ন।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন প্যাট কামিন্স। সিডনিতে নিয়েছেন ৮ উইকেট। ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কারটা—স্টিভ স্মিথ ছাড়া আর কাকেই–বা দেওয়া যেত! পুরো সিরিজে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ৬৮৭। ইংল্যান্ডের পক্ষে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ডেভিড মালানও স্মিথের চেয়ে পিছিয়ে আছেন ৩০০ রানের ব্যবধানে।
অনেক প্রত্যাশা নিয়েই এবারের অ্যাশেজ খেলতে এসেছিল ইংলিশরা। কিন্তু প্রথম থেকে প্রায় সবকিছুই গেছে তাদের বিপক্ষে। ব্রিস্টলের নাইটক্লাবে মারামারি করায় অস্ট্রেলিয়ায় আনা যায়নি দলের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়ে বেন স্টোকসকে। যাঁরা ছিলেন, মাঠের পারফরম্যান্স কারওরই প্রত্যাশা অনুযায়ী হয়নি। অ্যালিস্টার কুক, জো রুটদের মতো ব্যাটসম্যানদের ব্যাট সেভাবে কথা বলেনি। সিডনি টেস্ট শেষ পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানেও অধিনায়ক রুট আসতে পারলেন না, অসুস্থতার জন্য। ইনিংস হার দিয়ে সিরিজ শেষ করা ইংল্যান্ডের জন্য রুটের অসুস্থতা যেন গোটা সিরিজের একটা প্রতীকী রূপ।