বিশ্বের সবচেয়ে বিপদসঙ্কুল এই সমুদ্র যাত্রায় ডেকের নিচে একটি সীমিত ও আবদ্ধ পরিবেশে অভিবাসীদের স্থান দেয়ায় তারা শ্বাসরোধ হয়ে মারা গেছেন বলে জানানো হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম টুইটারে সিগালা ফালগুসি জাহাজটির নেতৃত্বে শনিবারে উদ্ধার অভিযান চালানো হয় এবং অনেকেরই জীবন রক্ষা করা সম্ভব হয় বলে বাহিনীর পক্ষ থেকে টুইট করা হয়েছে।
ইতালির সংবাদ সংস্থা আনসা সূত্রে জানা যায় নৌকাটি লিবিয়া উপকূল থেকে ২১ নটিকেল মাইল দূরে ছিলো এবং নৌকাটিতে ৪০০ জন অভিবাসী ছিলো। এদের মধ্যে ৩২০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আভ্যন্তরিণ মন্ত্রী এঞ্জেলিনো আলফানো।
ইতালির নৌবাহিনীর মুখপাত্র কোসটানটিনো ফানটাসিয়া বলেন, মৃত্যুর সংখ্যা আপাতত আর বাড়াবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে। কিন্তু অভিযান এখনো চলমান থাকায় এ বিষয়ে নিশ্চিন্ত করে এখনো কিছু বলা যাচ্ছে না।
ইউরোপিয়ান কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে অভিবাসীদের দুরবস্থা সম্পর্কে বলা হয় এই বছরে দুই লাখ ৫০ হাজার অভিবাসী নৌকায় করে ইউরোপে পাড়ি জমিয়েছেন। এই ব্যাপারটিতে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়। শুধু মঙ্গলবারেই এক হাজার সাতশো অভিবাসন প্রত্যাশিকে উদ্ধার কাজে সহায়তা করেছে ইতালিয়ান নৌ বাহিনী।
বুধবারে একটি রাবার ডিঙ্গি থেকে ৫০ জন অভিবাসীকে উদ্ধার করে নৌবাহিনী। কিন্তু অনেকেই নিখোঁজ রয়েছেন। লিবিয়ায় জলসীমায় এপ্রিলের ৫ তারিখে নৌকাডুবির ঘটনায় ২০০ জন মারা গেছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আইরিশ নেভি সেই দুর্ঘটনাস্থল থেকে শত শত যাত্রীকে উদ্ধার করে। চলতি বছরে এখন পর্যন্ত সমুদ্রপথে ইউরোপের উদ্দেশ্যে অভিভাসন প্রত্যাশিদের মধ্যে দুই হাজার জন মারা গেছেন বলে জাতিসংঘ জানিয়েছে।
বাংলাদেশেরপত্র/এডি/আর