ইন্দুরকানী (পিরোজপুর) প্রতিনিধিঃ পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে পার্কে ঘুরতে যাওয়ার ট্রলারে না বলে ওঠা ও সিগারেট খাওয়াকে কেন্দ্রকরে তর্ক বিতর্ক এক পর্যায়ে সংঘর্ষে আহত ৩জন, কচা নদীতে লাফ দেয়ায় নিখোজ ১জন। স্থানীয় ও থানা সূত্রে জানা যায়, শনিবার উপজেলার পাড়েরহাট এলাকার কয়েকজন বন্ধু একত্রে হয়ে বনভোজনের জন্য হরিনপালা পিকনিক স্পটে ট্রলার ভাড়া করে রওনা হয়। সকালের নাস্তা ও অন্য এক বন্ধুকে নেয়ার জন্য মোড়েলগঞ্জ বাসস্টান্ড (সোলমবাড়িয়া) ট্রলার ঘাটে অবস্থান করে, নাস্তা শেষে বন্ধুকে নিয়ে ট্রলারে রওনা হবার সময় নদী পাড়াপাড়ের নিয়মিত ট্রলার বুঝে ২জন পথচারী লাভ দিয়ে তাদের ট্রলারে ওঠে সিগারেট খেতে থাকে। তখন পিকনিকের বন্ধুমহলরা ট্রলারে কে উঠেছে ও সিগারেট খাওয়ায় প্রতিবাদ করলে নদীর মাঝবর্তী স্থানে উভয়ের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে পথচারী ইঞ্জিনিয়ার শামছুল আরেফীন রনি (৩৫), খায়রুল ইসলাম সবুজ (৩৪) নদীতে ঝাপদিয়ে পড়ে । উভয়ের চিৎকার চেচামেচি সুনে স্থানীয় জেলে এবং ট্রলার মাঝিরা দ্রæত ঘটনা স্থানে গিয়ে শামছুল আরেফীনকে নদী থেকে উদ্বার করে মোড়েলগঞ্জ স্বাস্থ কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয় কিন্তু অপর পথযাত্রী খায়রুল ইসলাম সবুজকে সংবাদ লেখা পর্যন্ত উদ্ধার করতে পারে নি স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস ও নৌ-পুলিশ। ইন্দুরকানী উপজেলার কলারণ সন্নাসী ঘাটের স্থানীয় জনগন ট্রলারে থাকা মাহামুদ পিং আবুল কালাম, হাসিব পিং জাহাঙ্গির, সাইফুল পিং সোনামিয়া, হাসিব পিং দুলাল, হাফিজ হাওলাদার পিং হাকিম, ওয়াহেদ পিং আনারুল, হাপিজুল পিং বারেক ও ট্রলারে মাঝি সগির পিং মোস্তফা সহ ৯জন কে ধরে গনধোলাই দিয়ে ইন্দুরকানী পুশিশের কাছে সোফর্দ করে । স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, খুলনা শেখপাড়া নিবাসী এই দুইজন ডিজানের কাজের জন্য শরখোলা যাচ্ছিল। ইন্দুরকানী থানা ওসি নাসির উদ্দিন শেখ জানায়, স্থানীয় জনগনের সহায়তায় ৯জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং পথচারী খায়রুল ইসলাম সবুজ নদীতে নিখোজ হওয়ায় উদ্ধারের জন্য ফায়ার সার্ভিস সহ আমরা সব্বোর্চ চেষ্টা চালাচ্ছি।