বাইবেলে বর্ণিত ‘ভাল ও মন্দের যুদ্ধে’ অনুপ্রাণিত হয়ে সুন্নি মুসলিম জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট’র (আইএস) সঙ্গে লড়াই করতে ইরাকি খ্রিস্টান বেসামরিক বাহিনীতে যোগ দিচ্ছে পশ্চিমা খ্রিস্টান নাগরিকরা। এরআগে দুই বছরে পশ্চিমা দেশগুলোর কয়েক হাজার তরুণ নাগরিক ইরাকে ও সিরিয়ায় লড়াই করতে গিয়েছে। তবে তাদের অধিকাংশই জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস’এ যোগ দিয়েছে। কিন্তু এর বিপরীতে ধর্মীয় আদর্শবাদী বেশ কিছু পশ্চিমা খ্রিস্টান তরুণ খ্রিস্টান বেসামরিক বাহিনী ‘দ্ববেখ নওশা’য় যোগ দিয়েছে। উদ্দেশ্য আইএস’র অত্যাচার থেকে নিরপরাধ মানুষদের রক্ষা করা। তাই ধর্মের ডাকে মন্দকে প্রতিরোধ করতে নিজেদের প্রাণ উৎসর্গ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা। এদেরই একজন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক সেইন্ট মাইকেল। তিনি ইরাক যুদ্ধে অভিজ্ঞ মার্কিন সেনা। সম্প্রতি তিনি আবার ইরাকে ফিরে ‘দ্ববেখ নওশা’য় যোগ দিয়েছেন।প্রাচীন আর্মাইক ভাষায় ‘দ্ববেখ নওশা’র অর্থ আত্মোৎসর্গ। স্বয়ং যিশুও এ ভাষায় কথা বলতেন, ইরাকি এ্যাশিরীয় খ্রিস্টানরা এখনও বলেন। ২০০৬ সালে মার্কিন বাহিনীর পক্ষে ইরাকে ছিলেন ব্রেট (২৮)। তখনো তার কাছে একটি পকেট বাইবেল ছিল। সেই বাইবেলটি সঙ্গে নিয়ে আবার ইরাকে ফিরে এসেছেন তিনি। যোগ দিয়েছেন ‘দ্ববেখ নওশা’য়। এ্যাশিরীয় রাজনৈতিক দলের অনুমোদিত বাহিনী ‘দ্ববেখ নওশা’র দপ্তরের দেয়ালে একটি মানচিত্র ঝুলছে। তাতে উত্তর ইরাকে খ্রিস্টান অধ্যুষিত শহরগুলো চিহ্নিত আছে। উত্তর ইরাকের প্রধান শহর মসুলের আশপাশেই শহরগুলোর অবস্থান। এই শহরগুলোর বেশিরভাগ আইএস’র নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বিগত গ্রীষ্মে আইএস জঙ্গিরা মসুল ও তার আশপাশের শহরগুলো দখল করে নেয়। আর এরপর স্থানীয় খ্রিস্টানদের কর দেয়ার, ধর্মান্তরিত হওয়ার অথবা তরবারির কোপে প্রাণ দেয়ার আল্টিমেটাম দেয় আইএস জঙ্গিরা। অধিকাংশ খ্রিস্টান অধিবাসীই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছে। ইরাকের নিনেভ প্রদেশে খ্রিস্টান গ্রামগুলো রক্ষার জন্য দ্ববেখ নওশা, কুর্দি পেশমেরগা বাহিনীর পাশাপাশি আইএস’র সঙ্গে লড়াই করছে।