ইয়েমেনে জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় শান্তি চুক্তি

জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় ইয়েমেন সরকার ও শিয়া সম্প্রদায়ভুক্ত হুথি বিদ্রোহীরা শান্তি চুক্তিতে পৌঁছেছে । 

রোববার সন্ধ্যায় পার্লামেন্ট ভবন, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, সেনা সদরদপ্তর, কেন্দ্রীয় ব্যাংক, জাতীয় রেডিও স্টেশন বিদ্রোহীদের দখলে যাওয়ার পর রাতে এ চুক্তিতে পৌঁছায় দু’পক্ষ।

দেশটির রাজধানী সানায় নিযুক্ত কাতারভিত্তিক একটি সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধি জানান, আগামী মাসে নতুন প্রশাসনিক পরিষদ গঠন না হওয়া পর্যন্ত ক্ষমতাসীনরা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দায়িত্বপালন করবে-এমন শর্তে শান্তিচুক্তিতে সম্মত হয় হুথি বিদ্রোহীরা।
 
এই চুক্তি মেনে চলতে সরকার ও বিদ্রোহীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট আবদরাবুহ মনসুর হাদি।

সংবাদ মাধ্যমগুলোর প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, মূলত হুথি বিদ্রোহীদের রাজধানী সানা ছাড়ানোর লক্ষ্যেই এ চুক্তি করেছে সরকার। যদিও আগামী ৪৫ দিনের মধ্যে সানা, জাওফ ও আমরান ছেড়ে যাওয়ার শর্ত সম্বলিত সেকশনটিতে স্বাক্ষর করেনি বিদ্রোহীরা।

এছাড়া, রাজধানী সানায় বিদ্রোহীরা যে দখলের উৎসব করেছে সেটা প্রায় রক্তপাতহীন বলে জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যমগুলো।

স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে, এ চুক্তির খবর ছড়িয়ে পড়লেও দু’পক্ষের লড়াই এখনও থামেনি। মনে করা হচ্ছে, হুথি বিদ্রোহীরা ইতোমধ্যে রাজধানীতে তাদের সামরিক লক্ষ্যে (সেনা সদরদপ্তর দখল) পৌঁছে গেছে বলে চুক্তি সম্পূর্ণ মানছে না। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত রাজধানীর পূর্বাঞ্চলের মারিবসহ ইয়েমেনজুড়ে সরকারপন্থি সুন্নি মিলিশিয়া ও হুথি বিদ্রোহীদের মধ্যে সংঘর্ষ চলছিল।

এর আগে, রোববার পার্লামেন্ট ভবন, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, সেনা সদরদপ্তর, কেন্দ্রীয় ব্যাংক, জাতীয় রেডিও স্টেশনসহ সরকারি বেশ কিছু স্থাপনা ও ভবন হুথি বিদ্রোহীদের দখলে চলে যাওয়ার প্রেক্ষিতে পদত্যাগ করেন  প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বশিনদবা।

স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে চলমান সংঘাত গত চারদিনে তীব্র আকার ধারণ করার প্রেক্ষিতে সৃষ্ট সংকটের মুখে রোববার বিকেলে পদত্যাগপত্র জমা দেন বশিনদবা।

Comments (0)
Add Comment