বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় আবহাওয়া অধিদফতর এ তথ্য জানায়। আগামী ৪৮ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, বর্তমানে বাংলাদেশের ওপর মৌসুমী বায়ু সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে দুর্বল থেকে মাঝারি অবস্থায় বিরাজ করছে। এছাড়া মৌসুমী বায়ুর অক্ষ সুস্পষ্ট লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল মধ্যপ্রদেশ, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে উত্তর-পূর্ব দিকে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
আবহাওয়া বিদ আবদুল মান্নান বলেন, এসময় দেশের নদীবন্দর সমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, আজ বৃহস্পতিবার থেকে ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বৃষ্টির প্রবণতা বাড়তে পারে। এরপর ৫ সেপ্টেম্বর থেকে তা কমতে পারে।
আবদুল মান্নান বলেন, ঈদের দিন সকালে ঢাকায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। এদিন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলেও হালকা থেকে মাঝারি এবং মাঝারি থেকে ভারী বা অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, এসময় দেশের নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়, রংপুর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর, ঢাকা, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চল সমূহের ওপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, এসময় সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।