উত্তর নাইজেরিয়ার একটি প্রত্যন্ত গ্রামে হানা দিয়ে ৪০ জন বালক ও তরুণকে অপহরণ করেছে বন্দুকধারীরা। বুধবারের এ অপহরণ বোকো হারাম জঙ্গিদের কাজ বলে অভিযোগ করেছে মালারি গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা ও নিরাপত্তা সূত্রগুলো। ইসলামপন্থি উগ্র এ জঙ্গিগোষ্ঠীটি ব্যাপকহারে অপহরণের ঘটনা ঘটিয়ে বিশ্বব্যাপী কুখ্যাতি কুড়িয়েছে। মালারি গ্রামের প্রত্যক্ষদর্শী মোহাম্মদ জারামি জানিয়েছেন, বুধবার রাত ৮টার দিকে বন্দুকধারীরা গ্রামে প্রবেশ করে, তাদের কাছে অনেক অস্ত্রশস্ত্র থাকলেও একটি গুলিও করেনি আর কাউকে খুনও করেনি। গ্রাম থেকে দৌড়ে মাইদুগুরি শহরে পালিয়ে আসা জারমি আরো বলেন, “ভয়ে লোকজন তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে দৌড়াদৌড়ি করে পালাতে শুরু করে। কিন্তু বন্দুকধারীরা তাদের অবাধ্য না হওয়ার জন্য সবাইকে সতর্ক করে দেয়।” আবুবকর শেকাউ আবুবকর শেকাউ “তারা বেছে বেছে ১৫ থেকে ২৩ বছর বয়সী ৪০ জন বালক ও তরুণকে নিয়ে যায়। এখন আমাদের গ্রামে কোনো তরুণ নেই।” ২০১৪ সালে কয়েকশ মানুষকে অপহরণ করেছে বোকো হারাম। অপহৃত ছেলেদের গোষ্ঠীটির যোদ্ধা হিসেবে ও মেয়েদের যৌনদাসী হিসেবে কাজে লাগানো হয় বলে জানিয়েছেন নিরাপত্তা কর্মকর্তারা। নাইজেরিয়ার উত্তরাঞ্চলে শরিয়াভিত্তিক একটি ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য পাঁচ বছর ধরে বোকো হারাম বিদ্রোহী লড়াই চালিয়ে আসছে। শত শত মানুষকে অপহরণ করা ছাড়াও গোষ্ঠীটির হাতে এ পর্যন্ত কয়েক হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন। বোকো হারামের বিদ্রোহী লড়াই আফ্রিকার শীর্ষ অর্থনীতির দেশটিকে গভীর নিরাপত্তা সংকটে ফেলে দিয়েছে। এর আগে উত্তরাঞ্চল থেকে অপহৃত হয় ২০০ স্কুলছাত্রী। প্রায় বছর পেরিয়ে গেলেও তাদের এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। অপহৃত ছাত্রীদের হতাশ বাবা-মা দেশের সরকারের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে জাতিসংঘের শরণাপন্ন হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ওদিকে অক্টোবরের শেষ দিকে প্রকাশিত এক ভিডিওতে নিজেকে বোকো হারামের নেতা দাবি করা আবুবকর শেকাউ নামের এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, অপহৃত ওই কিশোরীরা বোকো হারামের কমান্ডারদের “বিয়ে করেছে”।