মরিচ ঝাল হয় এর মাঝে থাকা ক্যাপসিসিন নামক উপাদানের কারণে। আর এই একই উপাদান আপনার মেটাবলিজমের গতি বাড়িয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে পারে সহজ। বাল্টিমোরে বায়োফিজিক্যাল সোসাইটির ৫৯তম বার্ষিক সম্মেলনে প্রকাশিত এক গবেষণায় এ কথা বলা হয়। ইঁদুরের ওপর পরিচালিত এ গবেষণায় দেখা যায়, উচ্চ মাত্রায় চর্বিজাতীয় খাদ্যভ্যাস থাকার পরেও এসব ইঁদুরকে ক্যাপসিসিন খাওয়ানোর ফলে তাদের অতিরিক্ত ওজন বাড়ে না। এ তথ্য ওবিস বা অতিরিক্ত ওজনদার মানুষদের জন্য সুখবর হয়ে উঠতে পারে। ইয়াওমিং ইউনিভার্সিটির গবেষকদের মতে, মোটাসোটা মানুষের মেটাবলিজম বাড়িয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে কাজে আসতে পারে ক্যাপসিসিন। এ ছাড়াও ক্যাপসিসিনের প্রভাবে শরীর শক্তি ক্ষয় করে এবং তৈরি করে তাপ। এর মাধ্যমে খারাপ ধরনের সাদা চর্বি রূপান্তরিত হতে পারে ভালো ধরনের বাদামি চর্বিতে। শরীরে এসব সাদা চর্বি শক্তি সঞ্চয় করে রাখে এবং বাদামি চর্বি তাপ সৃষ্টি করে। খুব বেশি ক্যালোরিযুক্ত খাবার খাওয়া এবং শারীরিকভাবে সক্রিয় না থাকার ফলে মেটাবলিজমের ভারসাম্য হারায় এবং ওবেসিটি দেখা দেয়। এ পরিস্থিতিতে মরিচ বা ঝাল খাওয়াটা উপকারী হলেও এ ব্যাপারে থাকতে হবে মনোযোগী। যদি ভেবে থাকেন এক প্লেট ফ্রেঞ্চ ফ্রাই এর সাথে অনেকগুলো মরিচ খেয়ে নিলেই কাজ হয়ে যাবে, তা কিন্তু নয়। বরং ওজন নিয়ন্ত্রণের একটি হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন ক্যাপসিসিন এর এই গুণ। এই উদ্দেশ্যে গবেষকেরা ক্যাপসিসিন থেকে একটি প্রাকৃতিক ডায়েটারি সাপ্লিমেন্ট তৈরি করার কথা চিন্তা করছেন। শুধু ওজন নিয়ন্ত্রণই নয়, এই মশলাটি স্বাস্থ্যের আরও অনেক উপকারে আসে। সাইনাস এবং বন্ধ নাকের সমস্যা দূর করতে তো হরহামেশাই ঝাল খাওয়া হয়। শুধু তাই নয়, ব্যাথা কমাতেও তা উপকারী। কেউ কেউ মোটেই ঝাল সহ্য করতে পারেন না, আবার কারও কারও মরিচ ছাড়া খাওয়াই চলে না। গবেষণায় দেখা গেছে, ঝাল খাওয়া অভ্যাসে পরিণত করলে এর স্বাদ পছন্দ হতে থাকে মানুষের।