স্পোর্টস ডেস্ক:
রোববার টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে স্বাগতিক কিউইদের থেকে ১১৩ রান এগিয়ে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস বাহিনী। শনিবার টেস্টের প্রথম দিনে লঙ্কানদের প্রথম ইনিংসের নবম ওভারে দিমুথ করুণারÍের বিদায়ের পর উইকেটে নেমেছিলেন কুমার সাঙ্গাকারা। ক্রাইস্টচার্চের দুর্দশা কাটাতে ধনুকভাঙ্গা পণ করেই মাঠে নেমেছিলেন সাঙ্গা। কিন্তু বেসিন রিজার্ভের সবুজ উইকেটে পেসারদের দাপটে দাঁড়াতেই পারছিল না লঙ্কান ব্যাটসম্যান। তাই দলীয় ৭৮ রানের মধ্যেই প্যাভিলিয়নে ফিরে যান কুশল সিলভা, লাহিরু থিরিমান্নে, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস ও মাহেলা জয়বর্ধনে। কিন্তু দলের এই বিপর্যয়ে ভয় পাননি সাঙ্গাকারা। বরং নিজেকে মেলে ধরার আরেকটি বড় মঞ্চ যেন পেয়ে বসেন ৩৭ বছর বয়সী উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান! ৫ উইকেটে ৭৮ রান থেকেই শ্রীলঙ্কাকে একাই টেনে তোলেন সাঙ্গাকারা। দলের মোট রানের ৫০ শতাংশের বেশি রান সংগ্রহ করে দলকে ৩৫৬ রান উপহার দেন। যাতে করে প্রথম ইনিংসে ১৩৫ রানের লিড পায় সফরকারীরা। অথচ প্রথম দিন শেষে ব্লাক ক্যাপসদের থেকে ১৪৩ রান পিছিয়ে ছিল তারা। সাঙ্গাকারা ৪১২ মিনিট ক্রিজে থেকে ৩০৬ বল মোকাবেলায় ১৮ চার ও ৩ ছয়ে ২০৩ রান করার পর দলের নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে দলীয় ৩৫৬ রানে আউট হন। জিমি নিশামের বলে ট্রেন্ট বোল্টের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। এরপর লঙ্কার ইনিংস আর একটুও থিতু হতে পারেননি। দশম উইকেটে স্কোরবোর্ডে কোনো রান যোগ না হতেই সাজঘরে ফেরেন সুরঙ্গা লাকমল। তারপর কিউইরা নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে দিনের অবশিষ্ট ১১ ওভার ব্যাট করে বিনা উইকেটে ২২ রান সংগ্রহ করে। হামিশ রাদারফোর্ড ১২ আর জিমি নিশাম ৯ রানে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেছেন। আর এদিনেই অতিরিক্ত হিসেবে বেসিন রিজার্ভে ক্যারিয়ারের ১১তম ডাবলসেঞ্চুরির সৌরভ ছড়ান লঙ্কার বামহাঁতি ব্যাটসম্যান। রোববার নিউজিল্যান্ড সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিনে সাঙ্গাকারার ঝকঝকে ২০৩ রান তাকে ডন ব্রাডম্যানের আরো পাশে নিয়ে গেল। কারণ আর কেবলমাত্র একটি ডাবল সেঞ্চুরি করলেই অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটিং কিংবদন্তিকে স্পর্শ করে ফেলবেন লঙ্কান ফেনোমেনন। ক্রিকেট রূপকথার অংশ হয়ে থাকা ব্রাডম্যান ৫২ টেস্টে ১২টি ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন। অন্যদিকে ১৩০ টেস্ট খেলে নটআউট থাকা সাঙ্গা এখন ১১টি ডাবল সেঞ্চুরির মালিক। সাঙ্গাকারার পর তৃতীয় সর্বোচ্চ নয়টি ডাবল সেঞ্চুরি আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্রায়ান লারার। ১৩১ ম্যাচে ওই ল্যান্ডমার্ক স্পর্শ করেছিলেন ক্যারিবিয় আইডল। এরপর তালিকার যৌথ চার নম্বর পজিশনে আছেন ইংল্যান্ডের হ্যামন্ড ও শ্রীলঙ্কার আরেক কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান মাহেলা জয়বর্ধনে। সাতটি করে ডাবল সেঞ্চুরি আছে এই জোড়ের। টেস্টে ছয়টি করে ডাবল সেঞ্চুরি আছে মারভান আতাপাত’, বিরেন্দ্র শেবাগ, জাভেদ মিয়াদাদ, রিকি পন্টিং ও শচীন টেন্ডুলকার।