মিজান, কাউনিয়া প্রতিনিধি: কলা হচ্ছে গ্রাম-বাংলার বারোমাসি ফল। ছোট বড় সব বয়সের প্রিয় ফল কলা । রমজান মাসে মুড়ি, বুট আর বুন্দিয়ার সাথে কলা না থাকলে যেন ইফতারে অপূর্ণতা থেকে যায়। এক সময় প্রায় বাড়ীতে মালভোগ, মনুয়া, চিনিচাম্পা, আটিয়াসহ বিভিন্ন জাতের কলার গাছ লাগাতো সেগুলো এখন কালের বিবর্তনে হারিয়ে গেছে। সেই জায়গা দখল করে নিয়েছে সাগর কলা। এখন বাণিজ্যিক ভিত্তিতে চাষ হচ্ছে রংপুরের কাউনিয়া উপজেলায় বেশ কয়েকটি গ্রামে। বেশী লাভজনক হওয়ায় এখন উপজেলার অনেক কৃষক অন্যান্য ফসলের চাষ বাদ দিয়ে কলা আবাদের দিকে ঝুকে পড়ছে। এলাকা ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার শিবু কুটিরপাড় থেকে শুরু করে হলদিবাড়ী, খোপাতী, শিবু লিচুবাগান, চান্দঘাট, পুর্বচান্দঘাট, হরিচরনলস্কর সহ অনেক গ্রামের যে দিকেই তাকানো যায় রাস্তার দুই ধারে শুধু কলা আর কলার বাগান। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশী কলা আবাদ হয় শিবু কুঠিরপাড় গ্রামে তাই এলাকার মানুষ এখন শিবু গ্রামকে কলা গ্রাম নামেই চিনে। হরিচরনলস্কর গ্রামের কলা চাষী মানিক সরকার ও শিবু কুটিরপাড় গ্রামের নুর ইসলাম, মনু মিয়া সহ বিভিন্ন কলা চাষীর সাথে কথা বলে জানা যায়, তাদের গ্রামের ১০০ ভাগ কৃষকেরই কলা বাগান রয়েছে। কৃষকরা জানায়, এক একর জমিতে ধান চাষ করতে খরচ হয় প্রায় ৪০/৫০ হাজার টাকা যা বিক্রি করে লাভ হয় মাত্র ১৫/২০ হাজার টাকা। আর এক একর জমিতে কলা চাষ করতে খরচ হয় ৩৫/ ৪০ হাজার টাকা তাতে লাভ হয় ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা। আবার রমজান মাসে কলা বিক্রি করতে পারলে ওই লাভ এক লাখ ছাড়িয়ে যায়। আরো জানা গেছে, জমিতে ধান আবাদ করতে গেলে অনেক ঝামেলা। তার চেয়ে কলা বাগান করলে এর সাথে বাড়তি মৌসূমী ফসল যেমন কুমড়া, আঁদা, পিয়াজ, রসুন, হলুদসহ বিভিন্ন রকমের শাক সবজী চাষ করেও টাকা উপার্জন করা সম্ভব। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল আলম জানান, চলতি মৌসুমে উপজেলায় প্রায় ৪০ হেক্টর জমিতে কলা চাষ হয়েছে।