কাউনিয়ায় স্বামী সতীনের নির্যাতনে লাভলী হাসপাতালে


কাউনিয়া প্রতিনিধিঃ
কাউনিয়া উপজেলার টেপামধুপুর ইউনিয়নের রাজিব গ্রামে যৌতুক লোভী পাষন্ড স্বামী লেবু মিয়ার নির্যাতনে লাভলী বেগম কাউনিয়া হাসপাতালের বেডে মৃত্যু যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছেন।

জানাগেছে, উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের গদাই গ্রামের কাফি সরদারের মেয়ে লাভলী বেগমের সাথে টেপামধুপুর ইউনিয়নের রাজিব গ্রামের আনছার আলীর পুত্র লেবু মিয়ার বিয়ে হয়। লেবু মিয়ার আগের স্ত্রী সখিনার কোন সন্তান না হওয়ায় লাভলীকে বিয়ে করেন তিনি। বিয়ের কিছু দিন পর থেকে লেবু মিয়া যৌতুকের জন্য লাভলীর উপর নানা ভাবে নির্যাতন শুরু করেন। ইতোমধ্যে লাভলীর কোলজুড়ে একটি কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। এর একপর্যায়ে নির্যাতন সইতে না পেরে লাভলী তার সন্তান নিয়ে বাবার বাড়িতে চলে আসেন। প্রায় ১ বছর আগে লেবু মিয়া স্থানীয় চেয়ারম্যান মেম্বারদের মাধ্যমে সালিশ বৈঠক করে লাভলী ও সন্তানের ভরণ পোষন এবং তার নামে ২০ শতক জমি দেয়ার কথা বলে আবার তাকে বাড়িতে নিয়ে যায়। এরপর ভরন পোষণ তো দূরের কথা আরও নির্যাতন বাড়িয়ে দেয় পাষন্ড স্বামী লেবু। প্রতিনিয়ত তাকে বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনতে চাপ দিতে থাকেন। তার বাবা একজন অসহায় দিনমজুর সে টাকা দিবে কোথা থেকে সেই কথা ভেবে স্বামীর শত অত্যাচার সহ্য করে সেখানেই থেকে যায় লাভলী।

ঘটনার দিন গত বুধবার লাভলীর ভাই তাকে দেখতে গেলে সে স্বামীকে বলে বাজার খরচ করে দেয়ার জন্য। এই কথা বলার সাথে সাথে লেবু মিয়া কাঁচা বাঁশের লাঠি দিয়ে লাভলীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে বেধরক মারপিট শুরু করেন। এতে লাভলী জ্ঞান হারিয়ে ফেললে পরে তার ভাই তাকে উদ্ধার করে কাউনিয়া হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমানে লাভলী বেগম শারীরিক যন্ত্রনায় হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছেন। এদিকে তার বাবা বিচার চেয়ে বিভিন্ন জনের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।

এ ব্যাপারে বালাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আনছার আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, লেবু মিয়া খুবই খারাপ মানুষ। লাভলী বেগমদের আইনের আশ্রয় নিতে বলেছি। এ ঘটনায় আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান ভুক্তভোগির স্বজনরা।

Comments (0)
Add Comment