এম রুহুল আমিন প্রধান, নবাবগঞ্জ: গ্রামে চলছে শোকের মাতম কাঠভর্তি ট্রাক খাদে পড়ে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার ৪ শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে ৫ জন। পার্বতীপুর ফুলবাড়ী মহাসড়কের বড়পুুকুরিয়া কয়লা খনি গেটের সামনে এ দূর্ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে পার্বতীপুর উপজেলার পলাশবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বাগানের গাছ কেটে ট্রাকে ভর্তি করে শ্রমিকরা। পার্বতীপুর-ফুলবাড়ী মহাসড়কের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির সামনে ঘনো কুয়াশার কারণে ট্রাকটি (ঢাকা মেট্রো-ট-১৬-৯৯১০) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। এ সময় নবাবগঞ্জ উপজেলার ৩ নং গোলাপগঞ্জ ইউনিয়নের হরিল্যাখুর গ্রাে মৃত নবাব আলীর পুত্র শ্রমিক জাকিরুল ইসলাম (৪৫), মৃত করিম উদ্দিন এর পুত্র ইসমাইল হোসেন (৩৮), আব্দুল মালেক এর পুত্র রেজাউল ইসলাম (৪২), শ্রী আশু সিং এর পুত্র দিলীপ সিং (৩৮) ঘটনাস্থলে নিহত হয়। আহতরা হলেন নবাব আলীর পুত্র মজিবর রহমান (৫২), ইয়াকুব আলীর পুত্র আসাদ আলী (৪৮) কে পার্বতীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও আজগার আলীর পুত্র আতিয়ার রহমান (৫৩), তছর উদ্দিন এর পুত্র বাবুল মিয়া (৫৫) ও মৃত ওসমান গনির পুত্র তাহাজুল ইসলাম (৪০) কে ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহত মজিবর রহমান ও আসাদ আলী বলেন, তারা ৯ জন শ্রমিক গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে পার্বতীপুর উপজেলার ৪ নং পলাশবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বাগানের গাছ কেটে ট্রাক বোঝাই করেন। কাঠ বোঝাই উক্ত ঢাকাগামী ট্রাকে করে তারা বাড়ী ফিরছিল। কাঠ বোঝাই ট্রাকটি পার্বতীপুর-ফুলবাড়ী মহাসড়কের পার্বতীপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি গেটের সামনে গেলে অতিরিক্ত ঘনো কুয়াশার কারণে ট্রাকটি খাদে পড়ে যায়। এ সময় ট্রাকের উপরে থাকা ৯ শ্রমিকের মধ্যে ঘটনাস্থলেই ৪ শ্রমিক নিহত হয় এবং ৫ শ্রমিক গুরুতর আহত হয়। পার্বতীপুর মডেল থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্র্মীরা রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করেছে। ট্রাকের ড্রাইভার ও হেলপার পলাতক রয়েছে। এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ থানায় যোগাযোগ করা হলে উপ-পরিদর্শক মোঃ মহুবার রহমান জানান, পার্বতীপুর থানার সংবাদের ভিত্তিতে মৃত পরিবারের নিকট সংবাদ দেওয়া হয়েছে। কাঠ ব্যবসায়ী মোঃ আতিয়ার রহমান জানান, লাশ পার্বতীপুর থানায় রয়েছে। এ রিপোর্ট সংগ্রহ করতে গেলে হরিল্যাখুর গ্রামে চলছে শোকের মাতম। ওই গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ আকতার হোসেন জানান, লাশ থানা থেকে নিয়ে এসে তাদের নিজ গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে। এ ঘটনায় নবাবগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মোঃ মনিরুজ্জামান সরকার জানান, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মৃত ৪ শ্রমিকের দাফন কার্যে আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে।