সেনা সূত্রে খবর, তাদের উদ্ধারে এলাকায় দুটি হেলিকপ্টার পাঠানো হয়েছে। আটক জওয়ানদের মধ্যে সাতজনকে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও এখনো দুই সেনা আটকে রয়েছেন। তাদের উদ্ধারের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তা।
অন্যদিকে, বন্যায় এখন পর্যন্ত ১৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তা জানান, গত বছরে উত্তরাখণ্ডের বন্যার চেয়েও এবার ভয়াবহ অবস্থা ভূস্বর্গের। পরিস্থিতি মোকাবিলায় নামানো হয়েছে ৬০ কোম্পানি সেনা। এখনো পর্যন্ত পাঁচ হাজার মানুষকে উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে সরানো হয়েছে। উপত্যকা জুড়ে অনেকগুলো অস্থায়ী শিবিরের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ঝিলমের পর বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইতে শুরু করেছে সিন্ধু। প্রশাসনের তরফে সিন্ধু তীরবর্তী গ্রামগুলোতে চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করা হয়েছে। গান্ডেরওয়ালের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার জানান, বেশ কিছু জায়গায় মেঘ ভেঙে বৃষ্টি হওয়ায় বেড়ে গেছে সিন্ধুর জলস্তর। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে গত পাঁচ দিনের টানা বৃষ্টি। কঙ্গন, ওয়েই, শাদিপোরা-সহ বিস্তীর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের উঁচু জায়গায় আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে। গান্ডেরওয়াল শহরের বাসিন্দাদেরও বলা হয়েছে সতর্ক থাকতে। বৃষ্টি ও বন্যায় ভেসে গেছে বহু সেতু ও রাস্তা। জায়গায় জায়গায় ভেসে গেছে শ্রীনগর-লেহ্ জাতীয় সড়ক। এদিন সকালে মাটি ধসে উধমপুরে ভেঙে পড়ে খান দুয়েক বাড়ি। মারা গেছেন অন্তত সাতজন। আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে দুজনকে।
শনিবার রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি দেখতে যান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। সকালে মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার সঙ্গে বৈঠকও করেন তিনি। ওমর নিজেই তাকে শ্রীনগরের পরিস্থিতি ঘুরে দেখান। রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতিকে ছয় দশকের মধ্যে ভয়ঙ্করতম আখ্যা দিয়ে কেন্দ্রের তরফ থেকে যাবতীয় সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী