বৃহস্পতিবার দুপুরে কুড়িগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে ঘন্টাব্যাপী মানব বন্ধন শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে।
মুক্তিযোদ্ধা ও তার পরিবারের সদস্যরা জানান, ২০১১ সালে সদর উপজেলার হলোখানা ইউনিয়নের সরকারী ৬ একর খাসজমি ২৪ জন ভুমিহীন মুক্তিযোদ্ধা ও তার পরিবারের নিকট দলিল মুলে প্রদান করা হয়। সেই থেকে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা এসব জমি ভোগ দখল করে আসছিল। গত ৮ জানুয়ারি ঐ এলাকার ভুমিদস্যু মকবুল হোসেন তার দলবল নিয়ে ভুমিহীন মুক্তিযোদ্ধাদের জমির ফসল ও গাছপালা কেটে দখল করে নেয়।
এ ব্যাপারে মুক্তিযোদ্ধা ও তার পরিবারের সদস্যরা জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার, জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সদর থানায় অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার না পেয়ে প্রধান মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ ব্যাপারে বীর প্রতীক আব্দুল হাই সরকার জানান, অসহায় ভুমিহীন মুক্তিযোদ্ধাদের জমি ভুমিদস্যুরা দখল করে নিয়েছে। এ অবস্থায় ভুমিহীন মুক্তিযোদ্ধাসহ তার পরিবারের সদস্যরা অসহায় দিন যাপন করছে। আমি আশা করছি পুলিশ প্রশাসনসহ উপজেলা ও জেলা প্রসাশন হস্তক্ষেপ করে ভুমিহীন মুক্তিযোদ্ধাদের জমি উদ্ধার করে দিবে।
এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম সদর থানার অফিসার ইনচার্জ জমির উদ্দিন জানান, ভুমিহীন মুক্তিযোদ্ধাদের জমি দখলের বিষয়টিতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
কুড়িগ্রাম মুক্তিযোদ্ধা জেলা কমান্ডার সিরাজুল ইসলাম টুকু জানান, আমি চাই প্রশাসন দ্রæত বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে ভুমিহীন মুক্তিযোদ্ধাদের নামে বরাদ্দকৃত জমি তাদের বুঝিয়ে দিবে।
এ ব্যাপারে কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক খান মোঃ নুরুল আমিন জানান, বরাদ্দকৃত জমিতে মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়ি-ঘর না থাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। তবে পুলিশ যদি একটু জোড়ালো ভুমিকা নেয় তাহলে অতিসহজে মুক্তিযোদ্ধাদের জমি উদ্ধার করা সম্ভব হবে।