এর আগে নভেম্বরে দায়িত্ব নিয়েই এমন আভাস দিয়েছিলেন আইসিসি চেয়ারম্যান শশাঙ্ক মনোহর। তবে সেটি তখনো তাঁর ব্যক্তিগত মতামত ছিল। এবার আইসিসির সভায়ও হলো এই সিদ্ধান্ত।
নির্বাহী এবং অর্থ-বাণিজ্য সংক্রান্ত আইসিসির সবচেয়ে ক্ষমতাধর এই দুই কমিটি থেকেও তিন প্রধানের স্থায়ী সদস্যপদ প্রত্যাহার করা হবে বলেও জানানো হয়। আগের গঠনতন্ত্রে আইসিসির হৃৎপিণ্ড বলে বিবেচিত এই দুই কমিটিতে ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড স্থায়ী সদস্যপদ পেয়েছিল। এদের অপসারণের সুযোগ ছিল না।
এটিই ক্রিকেট দুনিয়ায় ‘বিগ থ্রি’ বা ‘তিন মোড়ল’ হিসেবে পরিচিতি পায়।
সাম্প্রতিক এই সংশোধনীতে বলা হয়েছে, আইসিসির স্বতন্ত্র অডিট কমিটির চেয়ারম্যানের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচিত চেয়ারম্যানের মেয়াদ হবে দুই বছর। কোনও চেয়ারম্যান তিনবারের অধিক মেয়াদে পদে অধিষ্ঠিত থাকতে পারবেন না। চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি কোনও সদস্য দেশের ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা রাখতে পারবেন না।
সংশোধনী গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, ২০১৬ সালের জুন মাস থেকে গোপন ব্যালট পেপারের মাধ্যমে আইসিসির চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও চেয়ারম্যানে পদে নির্বাচন করতে হলে সে ব্যক্তিকে অবশ্যই বর্তমান বা সাবেক আইসিসির নির্বাহী পরিষদের সদস্য বা ডিরেক্টর হতে হবে। এছাড়া প্রার্থীকে দুজন পূর্ণ সদস্যর সমর্থন জোগাড় করতে হবে।