সিরডাপ মিলনায়তনে আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক উপ-কমিটি ‘রাজনীতিতে দুর্বৃত্তায়ন এবং দুর্বৃত্ত ও দুর্নীতিমুক্ত রাজনীতি’ শীর্ষক এ আলোচনা সভার এসব কথা বলেন তিনি ।
আইনমন্ত্রী বলেন, কোনো ব্যক্তির সাজা হওয়ার পর রায়ের কপি কখন পাবেন এ নিয়েও বিধিমালা আছে। শুধুমাত্র মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির ক্ষেত্রে রায়ের সঙ্গে সঙ্গে বা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রায়ের কপি দেওয়া হয়। এছাড়া অন্যান্য রায়ের ক্ষেত্রে রায়টা কতো বড়, তার ধরণ কী এসব বিষয় বিবেচনা করে যুক্তিসঙ্গত সময়ের মধ্যে কপি দেওয়া হয়। খালেদা জিয়ার রায় ৬৩২ পৃষ্ঠার।
এই মামলায় সরকারের কোনো হাত নেই মন্তব্য করে আনিসুল হক বলেন, স্বাধীন বিচার বিভাগ বিচার করেছে। এ রায়ের বিষয়ে যুক্তিসঙ্গত কথা না বলে বিএনপি নেতারা জনগণের দৃষ্টিকে অন্যদিকে নিতে চাইছেন। তাদের আইনজীবীরা রায়ের পর ডিভিশনের জন্য আবেদন করেননি। যখন আবেদন করেছেন তখনই ডিভিশন দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, সরকার আইনের শাসন ফিরিয়ে আনার জন্য যা যা করার তা করছে, করবে। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। যে অপরাধী, যে অন্যায় করবে সে দলেরই যতো বড় নেতাই হোক না কেন তাকে আইনের আওতায় আসতে হবে, তার বিচার হবে।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে দলটির গণস্বাক্ষর কর্মসূচি সম্পর্কে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, যারা স্বাক্ষর দিচ্ছেন তারা নিজেদের জানমালের হিসাব রাখবেন। তারা কিন্তু সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিচ্ছেন। ভেবে দেখবেন কোথায় স্বাক্ষর দিচ্ছেন। আপনার জানমাল নিয়ে যাচ্ছে কি-না তাও বিবেচনা করে দেখবেন।