খালেদা জিয়া এখন সেনাবহিনীকে উস্কানি দিচ্ছেন : নাসিম

 

নিজস্ব প্রতিনিধি: 

আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য এবং কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা ৫ জানুয়ারির নির্বাচন ঠেকাতে ও আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে এখন সেনাবহিনীকে উস্কানি দিচ্ছেন।  তিনি বলেন, বিএনপি সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করতে চাইছে। এটা রাষ্ট্রদ্রোহীতার সামিল। তারা সেনাবাহিনীকে নির্বাচনী মাঠে রেখে কি উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করতে চায়!

নাসিম আজ শনিবার বিকালে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে ১৪ দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা বলেন।

বিএনপি সিটি নির্বাচনকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে অভিযোগ করে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বিএনপি নেত্রী ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে মাগুরা, মিরপুর উপনির্বাচন এবং রাজশাহী সিটি নির্বাচনে জোর করে ভোট জালিয়াতি করেছিলেন। তাই নির্বাচন কমিশন নিয়ে বিতর্কিত কথা বলার সময় খালেদা জিয়ার উচিত আয়নায় নিজের চেহারাটা দেখে নেয়া।

নাসিম বলেন, এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে শুধু জাতীয় নির্বাচন নয়, স্থানীয়সহ ৮টি সিটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই নির্বাচন নিয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। প্রতিটি নির্বাচনই অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে। আসলে নির্বাচন কমিশনকে নিয়ে কথা বলা তাদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী যারা জ্বালাও-পোড়াও করে মানুষ হত্যা করেছে তাদেরকে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ঘৃণা ভরে প্রত্যাখ্যান করতে দেশবাসীর প্রতি আহবান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ঢাকা ও চট্টগ্রামবাসী আপনারা নির্বাচনে ভোটের মাধ্যমে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রায় দিয়ে তাকে বুঝিয়ে দিন যে, এ দেশে পেট্রোলবোমার কোন জায়গা নেই। বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিগত ৩ মাস যারা জ্বালাও পোড়া করে মা, বোন, শিশুসহ অসংখ্যা মানুষ হত্যা করেছে সিটি নির্বাচনে তাদেরকে ঘৃণা ভরে প্রত্যাখ্যান করুন।

সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীকে নির্বাচিত করতে অস্ত্র নিয়ে ভোট চাইতে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া মাঠে নেমেছেন অভিযোগ করে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বলেন, বেগম খালেদা জিয়া নির্বাচন কমিশনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নির্বাচনী আইন বহির্ভূত গাড়ি বহর ও অস্ত্রসহ দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে ভোট চাইতে মাঠে নেমেছেন।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়া অস্ত্র নিয়ে গাড়ি বহরসহ নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন। যা নির্বাচনী আচরনবিধির লংঘন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে ১৪ দলের নেতারা আগামীকাল নির্বাচন কমিশনে যাবেন।

নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্পর্কে বিএনপির আশঙ্কাকে উড়িয়ে দিয়ে তিনি বলেন, তারা (বিএনপি) অতীতে ভোট ডাকাতি করেছে। তারা এ কাজে অভ্যস্ত। এ জন্য তারা আশঙ্কা করছে। এটা তাদের পুরনো অভ্যাস। নির্বাচনে পরাজয় জেনেই তারা এ কথা বলছেন।

এর আগে সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়–য়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, আ ফ ম বাহা উদ্দিন নাছিম ও খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, জাসদের স্থায়ী কমিটির সদস্য শিরিন আক্তার, আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এডভোকেট আফজাল হোসেন, আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. বদিউজ্জামান ভুইয়া ডাবলু, উপদপ্তর সম্পাদক মৃনাল কান্তি দাস, ন্যাপ নেতা ইসমাইল হোসেন, কমিউনিষ্ট কেন্দ্রের আহবায়ক ডাঃ ওয়াজেদুল ইসলাম, বাসদের আহবায়ক রেজাউর রশিদ খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Comments (0)
Add Comment