গলাচিপা(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার চর কাজল ও চর বিশ্বাস ইউনিয়ানে বাজার গুলোতে ব্যাঙের ছাতার মত গজিয়ে উঠেছে অবৈধ পেট্রোল ব্যবসা। যেখানে সেখানে টেবিল পেতে এক শ্রেণীর অসাধু ভুঁইফোর ব্যবসায়িরা দিনের পর দিন অবৈধ ভাবে পেট্রোল ব্যবসা চালিয়ে গেলেও দেখার কেউ নেই। পেট্রোলের সাথে ডিজেল ও কেরোসিন মিশিয়ে অতিরিক্ত মুনফা লাভের আশায় অসাধু ব্যবসায়িরা এসব দাহ্য পদার্থ বিক্রি করছে। ব্যবহারে কোন নিয়ামনীতি না থাকায় ওই সব এলাকায় বড় ধরনের আগুনের ঘটনাও ঘটছে হরহামেশায়। মেশানো তেল বিক্রির কারণে যান বাহন গুলো তারাতারি নষ্ট হচ্ছে। অন্য দিকে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব আয়। আইনত গতভাবে পেট্রোল ব্যবসা করতে হলে বিষ্ফোরক অধিদপ্তর থেকে অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু এর কোন বালাই নেই তাদের ।
অনুসন্ধানে জানা যায়, বাজারের দোকান গুলো থেকে দুস্কৃতি কারীরা পেট্রোল সংগ্রহ করে দূর্ঘটনা ঘটায় । সরেজমিনে দেখা যায়, পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলা চরকাজল ও চর বিশ্বাস ইউনিয়নের বিভিন্ন হাট বাজারে ও খোলা স্থানে সেভেন আপের বোতলে ভরে অবৈধ পেট্রোল ও অকটেল মতো দাহ্য পদার্থ বিক্রি ব্যবসা জমজমাট চললেও কর্তৃপক্ষের কোন নজোরদারি নেই।
এ ব্যপারে মেসার্স হাওলাদার ট্রেডার্সের প্রোপাইটার জহিরুল ইসলাম বলেন, একমাত্র তেল বিক্রি করার বিস্ফোরক লাইসেন্স আমার ছাড়া চর কাজল ও চর বিশ্বাসে আর কারো নেই।
তিনি আরও বলেন, আমি জেলা প্রশাসক ও গলাচিপা উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা বরাবর স্মারক লিপি দিয়েছি। তিনি বলেন, পেট্রোল অকটেল, ডিজেল মতো জ্বালানী বিক্র করতে হলে বিস্ফোরক লাসেন্স থাকতে হবে বাজারে বা দোকানে এসব জ্বালানী তৈল বিক্রি করা সম্পূর্ন অবৈধ।
এ বিষয়ে রুহুল হাওলাদারের কাছে মুঠো ফোনে জানতে চাইলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। চর কাজল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ সাইদুর রহমান (রুবেল) চর বিশ্বাস ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি বাবুল মুন্সী বলেন, অবৈধ ভাবে যারা তেল বিক্রি করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এব্যপারে উপজেলা নির্বাহি অফিসার আবদুল্লাহ আল বাকী বলেন, তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। পটুয়াখালী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কাছে জানতে চাইলে তারা জানান, লাইসেন্স নেয়ার কথা থাকলেও লাইসেন্স না নিয়ে অবৈধ দাহ্য পদার্থের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে এক শ্রেণির ব্যবসায়িরা।