জানা গেছে, সুন্দরগঞ্জের তিস্তা নদীর তীরবর্তী তারাপুর, দহবন্দ, বেলকা হরিপুর, চন্ডিপুর, শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের জেগে ওঠা চরে এ বছর কৃষকরা কৃষি বিভাগের পরামর্শে সরিষা চাষ শুরু করে। প্রতিটি জমিতেই তরতাজা সবুজ সরিষা গাছগুলোতে হলুদ ফুলে ফুলে ভরে ওঠায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটতে শুরু করেছে। সরেজমিনে এসমস্ত এলাকা পরিদর্শনে দেখা গেছে, ইতোমধ্যে সরিষা ফুল ঝড়তে শুরু করে গাছগুলোতে সরিষার দানা বাঁধতে শুরু করেছে।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলা কৃষি বিভাগ সুত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নসহ চরাঞ্চলে ব্যাপক জমিতে সরিষার চাষাবাদ হয়েছে। এরমধ্যে চরাঞ্চলই বেশির ভাগ জমিতে চাষ হয়েছে উন্নত ফলন জাতের সরিষা। কাপাসিয়া ইউনিয়নের ভাটি কাপাসিয়া চরাঞ্চলের কৃষক ছালাম মিয়া জানান, এ বছরই তিনি প্রথম চরাঞ্চলের জমিতে সরিষা চাষ করেছেন। তার জমিতে সরিষার গাছগুলো যেভাবে লকলকিয়ে উঠেছে এবং হলুদ ফুলে ছেয়ে গেছে তাতে তিনি এ বছর সরিষার ভাল পাবেন বলে আশাবাদি হয়েছেন। চন্ডিপুরের কৃষক মুনছুর আলী জানান, এবার আবহাওয়া ভাল থাকায় জমিতে সরিষার ফলন ভাল হবে বলে তিনি আশা করছেন। গত বছর যে সমস্ত জমিতে ভূট্টা চাষ করা হয়েছিল সেই জমিতেই এবার তিনি অত্যান্ত কম খরচে সরিষা চাষ করেছেন। সরিষার বাড়স্ত ফুলে ভরা গাছগুলো দেখে তিনি আশান্বিত হয়েছেন এবারে সরিষা উৎপাদন করে তিনি যথেষ্টই লাভবান হতে পারবেন।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ জানান, উঁচু এলাকাগুলোর চাইতে চরাঞ্চলের নদীবাহিত পলি সমৃদ্ধ বেলে-দোয়াশ মাটিতে সরিষাসহ বিভিন্ন ফসলের আবাদ ভাল হচ্ছে। কারণ চরাঞ্চলের জমিগুলো অত্যন্ত উর্বর। এ থেকে মঙ্গা প্রবণ এ সমস্ত দুর্গম এলাকার কৃষকরা রবি মৌসুমে মরিচ, সরিষা, ছিটানো পিয়াজ, মিষ্টি কুমড়া, ডাল, ভুট্টা, ধনিয়া পাতা, আলু ও মিষ্টি আলু, বাদামসহ বিভিন্ন জাতের ফসল উৎপাদনের মাধ্যমে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে শুরু করেছে। যা চরাঞ্চলের চিরায়ত অভাব নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।