গাইবান্ধা: গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) পাঁচ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন, শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গাইবান্ধার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল আদালতে মঙ্গলবার গৃহবধূ মনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। বুধবার বিষয়টি প্রকাশ হয়ে পড়ে।
মামলায় ওসি এ বি এম জাহিদুল ইসলাম, উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফজলুর রহমান, কনস্টেবল আব্দুল মান্নান, তুহিন মিয়া ও পুলিশ ভ্যানের চালককে (অজ্ঞাত) আসামি করা হয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক তাসকিনুল হক মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
বুধবার দুপুরে ওসি এ বি এম জাহিদুল ইসলাম মামলার বিষয়টি বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মামলার বাদী মনোয়ারার স্বামী মুকুল মিয়া তার বড় ভাই জাহাঙ্গীর আলমের ২য় স্ত্রী ফাহিমা বেগমকে মারধর ও নির্যাতন মামলার আসামি। ওই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ফজলুর রহমান। ২৭ মার্চ রাতে আসামিরা ফাহিমাকে মারধর করে ঘরের ভেতর আটকে রাখেন। তিনি গোবিন্দগঞ্জ থানায় খবর দিলে এসআই ফজলুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে যায়। কিন্তু আসামিরা ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার লক্ষে কতিপয় সুবিধাবাদী ব্যক্তির পরামর্শে মুকুল মিয়ার স্ত্রী মনোয়ারাকে দিয়ে হয়রানিমূলক এ মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২৭ মার্চ রাত ৮টার দিকে গোবিন্দগঞ্জ থানার এসআই ফজলুর রহমান পুলিশ নিয়ে মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের দিরাই পশ্চিমপাড়া গ্রামের মুকুল মিয়ার বাড়িতে যান।
বাড়িতে কোনো পুরুষ মানুষ না থাকায় তারা বাড়ির গেটে তালা লাগিয়ে প্রতিদিনের মতো কাজ করছিলেন। এ সময় ভ্যান ভর্তি পুলিশ বাড়ির সামনে গিয়ে তাদের গেট খুলতে বলে। তারা গেট খুলতে রাজি না হওয়ায় এসআই ফজলুর রহমান পাশের বাড়ি থেকে লোহার শাবল নিয়ে এসে গেটের তালা ভেঙে বাড়িতে প্রবেশ করেন।
মুকুল মিয়াকে বাড়িতে না পেয়ে বাড়িতে থাকা নারীদের বেধড়ক মারপিট ও শ্লীলতাহানি করেন। কনস্টেবল তুহিন মিয়া গৃহবধূ হালিমা ও মনোয়ারাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালান। তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে পুলিশ সদস্যরা তাদের হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।