শেরপুর প্রতিনিধি:
ভাষাবিজ্ঞানে গৃহপালিত প্রাণীর ভাষা নিয়ে গবেষণার স্বীকৃতি পেলেন শেরপুরের কৃতিসন্তান কবি ও গবেষক হাসান নাশিদ। গৃহপালিত প্রাণিদের ভাষা ও আচরণ নিয়ে উল্লেখযোগ্য গবেষণার ওপর ভিত্তি করে এ স্বীকৃতি দেওয়া হয় তাকে। ৫টি দেশের গবেষকদের এমন স্বীকৃতি দেয় বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তম সরকারি রিসার্চবেজড ইউনিভার্সিটি ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়’।
১৪ ফেব্রুয়ারী চবি ভাষাবিজ্ঞান মিলনায়তনে তাকে এ স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর, আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের পরিচালক ও দেশ-বিদেশের বিভিন্ন অনুষদের অধ্যাপক, গবেষক, একাডেমিক মেম্বার ও বিভাগীয় শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
হাসান নাশিদ আমেরিকার আরিজোনা ইউনিভার্সিটি ফুলফান্ডিং স্কলারশিপপ্রাপ্ত কবি ও গবেষক। তার এ অর্জনে শেরপুরবাসী খুবই গর্বিত।
স্থানীয় এক সংবাদ সংস্থাকে দেয়া বিবৃতি থেকে জানা যায়, এ স্বীকৃতি ভাষাবিজ্ঞানে শেরপুরে গৃহপালিত প্রাণির ভাষার ক্ষেত্রে হাসান নাশিদের একটি উল্লেখযোগ্য গবেষণা। এর আগেও তিনি বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সীকৃতি পেয়েছেন। হাসান নাশিদের মোট ৪০টি আর্টিকেল বিশ্বের ২০টি দেশ নির্বাচন করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তিনি বাংলাদেশ, আমেরিকা, অস্ট্রলিয়া, গ্রিস ও উজবেকিস্তানের সেরা গবেষকদের একজন; যারা এ স্বীকৃতি পেয়েছেন।
এ সাফল্য গৃহপালিত প্রাণির ভাষা গবেষণার উৎকর্ষতায় বৈশ্বিক মঞ্চে শেরপুরের জন্য গৌরব বয়ে এনেছে।
হাসান নাশিদ ১৯৯১ সালে শেরপুর জেলার শ্রীবরদী উপজেলা উত্তর শ্রীবরদী গ্রামের মৌলানা হাফিজ উদ্দিনের ঘরে জন্মগ্রহণ করেন। ইতোমধ্যে তিনি কয়েকটি বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রিসহ উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
ইতিমধ্যে তার “পলিটিক্যাল ওয়ার ইন বাংলাদেশ”সহ নয়টি নন-ফিকশান গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে।
শেরপুরের এ কৃতি গবেষক এবং শেরপুর গাঙচিল সদস্য গবেষক হাসান নাশিদের সাফলতা কামনা করে অভিনন্দন জানিয়েছেন গাঙচিল সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদ শেরপুর জেলা শাখার সভাপতি কবি ও সাংবাদিক রফিক মজিদ এবং সাধারণ সম্পাদক কবি জাহাঙ্গীর আলম।