চট্টগ্রামে লবণ কারখানায় অভিযান, তিন লক্ষ টাকা জরিমানা

চট্টগ্রাম অফিস: চট্টগ্রাম মহানগরীর কোতোয়ালি থানাধীন ইয়াকুব নগর এলাকায় অবস্থিত মেসার্স মালেক সন্স এর লবন কারখানায় জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রুহুল আমীন, শেখ নুরুল আলম ও শান্তা রহমান, সহযোগিতায় ছিল ব্যাটালিয়ন আনসার।
এসময় ইয়াকুব নগরের মেসার্স মালেক সন্স এর লবণ কারখানায় অভিযান চালিয়ে দেখা যায়, অত্যন্ত নোংরা ও অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে লবণ উৎপাদন করা হচ্ছে।
অভিযানকালে দেখা যায়, প্যাকেটের গায়ে স্বয়ংক্রিয় মেশিনে উৎপাদিত লেখা থাকলেও সনাতন পদ্ধতিতে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে লবণ উৎপাদন করা হচ্ছে। এসময় ওজনে কম দেওয়া, সমপরিমাণের একই লবণের দুই রকমের প্যাকেট, প্যাকেটে দুই রকমের মূল্যের উল্লেখ, প্যাকেটের গায়ে উৎপাদন সংক্রান্ত ভুল তথ্য প্রদান, নোংরা লবণ প্যাকেটজাত, নোংরা পরিবেশে তথাকথিত পরিশোধিত লবণ সংরক্ষণ, কোন ল্যাব না থাকা, আয়োডিনযুক্ত লবণ দাবী করার পরেও কারখানায় আয়োডিনের কোন অস্তিত্ব না পাওয়ার কারণে প্রতিষ্ঠানটিকে তিন লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়।

উল্লেখ্য যে, ৫০০ গ্রামের লবণের প্যাকেট ওজন করে ২৫০-৩০০ গ্রাম এবং ১ কেজির প্যাকেট ওজন করে ৭০০-৭৫০ গ্রাম পাওয়া যায়।যা বাজারজাত করা হচ্ছে। একই লবণ ১ কেজি পরিমাণে বাজারজাত করার জন্য দুই রকমের প্যাকেট ব্যবহার করা হচ্ছে এবং একটিতে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ২২ টাকা, অন্যটিতে ২৭ টাকা উল্লেখ করা হয়,দুই ধরনের প্যাকেটে দুই ধরনে মার্কেটে বিক্রি হয় অর্থাৎ একটা সাধারণ বাজারে আর একটা বড়লোকদের বাজারে। বি,এস,টি,আই অনুমোদিত হলেও লবণ উৎপাদনের সময় তেমন কোন ফিল্টারিং করা হয় নি, ছিল না লবণ রিফাইনিং এর জন্য প্রয়োজনীয় মেশিনারিজ। লবন প্যাকেট করার জন্য কোন পরিমাপ যন্ত্র ব্যবহার হচ্ছিল না, যখন তাদের জিজ্ঞেস করা হয় কিভাবে লবন প্যাকেটজাত করছেন, ম্যানেজার জবাবে জানান, বেলচা দিয়ে অনুমান করে প্যাকেট বানাই, কোনোরকম পরিমাপ করে প্যাকেটে ভরি না, বেলচাই আমাদের অনুমান।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রুহুল আমীন জানান, অভিযানের পর কারখানা সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে এই ধরণের কোন অনিয়ম ধরা পড়লে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

Comments (0)
Add Comment